আগরতলা, ১২ অক্টোবর: রাজ্যের ৮০ শতাংশ পরিবারের বাড়িতে যদি স্বামী বিবেকানন্দের ছবি টাঙানো থাকে, তাহলে আগামী ৩০ থেকে ৩৫ বছর রাজ্যে বিজেপি (BJP) সরকারের 'রাজ' চলবে। সম্প্রতি এমনই একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। যার জেরে এবার দলের অন্দরেই বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ ১২ জন বিজেপি সাংসদ। দিল্লিতে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন তাঁরা।
ত্রিপুরার প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ রয়েছেন এই বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দুতে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কপালেও ভাঁজ ফেলেছে। এছাড়াও বিক্ষুব্ধদের তালিকায় রয়েছেন সুশান্ত চৌধুরি, আশীষ সাহা, রামপ্রসাদ পাল, দিব চন্দ্র হ্রানখাওয়াল, পরিমল দেব বর্মা, ডিসি রানখাওয়াল, অতুল দেব বর্মা, বুর্ব মোহন- এঁরা প্রত্যেকেই ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের 'মুখ্যমন্ত্রী-শাসন'-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডার সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন: Fire At Chitpur Plastic Factory: চিৎপুরের প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন
দীর্ঘ ২৫ বছরের যাত্রার পরে ২০১৮ সালে বামেদের সরিয়ে ত্রিপুরা দখল করে বিজেপিরা। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রুখতেও ব্যর্থ হয়েছে ত্রিপুরা সরকার। অভিযোগকারী সাংসদদের দাবি, এই করোনা সংকটের সময় ত্রিপুরায় একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রীও নেই। অভিজ্ঞ আইএএস ও আইপিএস অফিসাররা ত্রিপুরা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্র 'রাজত্ব'-র কারণেই অবসর নিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। ত্রিপুরা বিধানসভায় ৩৬ জন বিজেপি সাংসদ রয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জন সাংসদ ইতিমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে। যার জেরে যখন তখন ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।