নতুন দিল্লি, ১৪ নভেম্বর: শিশু দিবস (Children's Day) উপলক্ষে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর (PM Pandit Jawaharlal Nehru) প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এক টুইট বার্তায় এই শ্রদ্ধার্ঘ জানান নমো। চাচা নেহরুর জন্মদিনটিই দেশজুড়ে শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এই শিশু দিবস উপলক্ষেই এক ডুডল (Doodle) প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল গুগল। তাতে ছবি এঁকে সেরার শিরোপা জিতে নিয়েছে বছর সাতেকের দিব্যাংশি সিঙ্ঘল (Divyanshi Singhal.)। গুরুগ্রামের দিল্লি পাবলিক স্কুলের এই ছাত্রী চেয়েছে হেঁটে বেড়াক গাছ। তাহলে মানুষের প্রয়োজনে প্রাণ বাঁচাতে সে অন্যত্র সরে যেতে পারবে। তাহলে গাছ কেটে বন ধ্বংস বা অক্সিজেনের উৎস নষ্টের কোনও প্রয়োজন পড়বে না।
গাছ হাঁটছে, নিজেকে বাঁচানোর স্বার্থে, মানুষের ইচ্ছে পূরণের লক্ষ্যে। হেঁটে চলেছে গাছ (Children's Day India 2019)। এমনটা যদি সত্যিই হতো, তাহলে তো আর নগরায়নের নামে গাছ কেটে বনভূমি ফাঁকা করতে পারত না মানুষ। উড়ালপুল বানাতে হবে, কিন্তু সেখানে অনেক গাছ। মানুষ গাছকে তার সমস্যার কথা জানাল। পরের দিন সকালে ইঞ্জিনিয়র নিয়ে গিয়ে মাপজোখের কাজ শুরুর আগেই দেখা গেল গোটা এলাকায় একটাও গাছ নেই। তারা নিজেদের সুবিধার্থে অন্যত্র সরে গিয়েছে। কল্পনার জগতের এহেন হেঁটে চলা গাছ বাস্তবে থাকলে মানুষকে আর ভাবতে হত না। কোনওরকম পরিবেশ দূষণ, বন ধ্বংস ছাড়াই নগরায়ন ঘটত। গাছেরও মৃত্যু হত না। সেই হেঁটে চলা গাছই আজকের ডুডল। শিশু দিবস উপলক্ষে ডুডলের জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল গুগল। ভারতের ১.১ লক্ষ খুদে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তাঁরা সকলেই ক্লাস ওয়ান থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়া। শিশু দিবসের ডুডলে দিতে হবে আনকোরা ভাবনার ছবি, এই ছিল প্রতিযোগিতার বিষয়। তাতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে খুদের দল। কেউ বা টেকনোলজির সাহায্যে বাধাহীন উড়তে চেয়েছে। কেউ বা সমুদ্রকে দূষণ মুক্ত করতে চেয়েছে। প্রত্যেকটি ভাবনাই নজর কেড়ে নেবে। আরও পড়ুন-Children's Day India 2019: হাঁটছে গাছ, এই ছবিতেই শিশু দিবসের ডুডলে বাজিমাত দিব্যাংশির
Tributes to our former PM Pandit Jawaharlal Nehru on his birth anniversary.
— Narendra Modi (@narendramodi) November 14, 2019
এই ১৪ নভেম্বর দিনটি প্রতিটি শিশুর জন্য ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। এই শিশু দিবস উপলক্ষে প্রতিটা স্কুলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পড়ুয়াদের হাতে মিষ্টি, কেক, চকলেট, ফুল, উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর স্মৃতিতেই এই দিনটি উদযাপিত হয়। যিনি শিশুদের জীবনকে আরও সুন্দ করে তোলার জন্য বিবিধ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভারতের যুব সমাজের উন্নয়নে বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প চালু করেন তিনি। শিক্ষার আলোয় দেশের শিশুরা আলোকিত হোক, চাচা নেহরু সবসময় চাইতেন।