শিশু দিবসের ডুডল, হাঁটছে গাছ (Photo Credit: Google)

গাছ হাঁটছে, নিজেকে বাঁচানোর স্বার্থে, মানুষের ইচ্ছে পূরণের লক্ষ্যে। হেঁটে চলেছে গাছ (Children's Day India 2019)। এমনটা যদি সত্যিই হতো, তাহলে তো আর নগরায়নের নামে গাছ কেটে বনভূমি ফাঁকা করতে পারত না মানুষ। উড়ালপুল বানাতে হবে, কিন্তু সেখানে অনেক গাছ। মানুষ গাছকে তার সমস্যার কথা জানাল। পরের দিন সকালে ইঞ্জিনিয়র নিয়ে গিয়ে মাপজোখের কাজ শুরুর আগেই দেখা গেল গোটা এলাকায় একটাও গাছ নেই। তারা নিজেদের সুবিধার্থে অন্যত্র সরে গিয়েছে। কল্পনার জগতের এহেন হেঁটে চলা গাছ বাস্তবে থাকলে মানুষকে আর ভাবতে হত না। কোনওরকম পরিবেশ দূষণ, বন ধ্বংস ছাড়াই নগরায়ন ঘটত। গাছেরও মৃত্যু হত না। সেই হেঁটে চলা গাছই আজকের ডুডল।

শিশু দিবসে (Children's Day India 2019)  গুগলের এই নজর কাড়া ডুডল দেখে চমৎকৃত নেটিজেনরা। জানা গিয়েছে, শিশু দিবস উপলক্ষে ডুডলের জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল গুগল। ভারতের ১.১ লক্ষ খুদে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তাঁরা সকলেই ক্লাস ওয়ান থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়া। শিশু দিবসের ডুডলে দিতে হবে আনকোরা ভাবনার ছবি, এই ছিল প্রতিযোগিতার বিষয়। তাতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে খুদের দল। কেউ বা টেকনোলজির সাহায্যে বাধাহীন উড়তে চেয়েছে। কেউ বা সমুদ্রকে দূষণ মুক্ত করতে চেয়েছে। প্রত্যেকটি ভাবনাই নজর কেড়ে নেবে। তবে শেষপর্যন্ত সেরার শিরোপা জিতে নিল হেঁটে চলা গাছ। গুরুগ্রামের দিব্যাংশি সিঙ্ঘল,  (Divyanshi Singhal) সেই এঁকেছে ছবিটি। নিজের ছবিতে গাছ বাঁচিয়ে সভ্যতার এগিয়ে চলার সুযোগ করে দিয়েছে দিল্লি পাবলিক স্কুলের এই ছাত্রী। আর সেরা ডুডল নির্বাচনে বিচারকরা তাকেই বেছে নিয়েছেন। মাস তিনেক আগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গুগল। প্রতিযোগিতার থিম ছিল, ‘যখন আমি বড় হব…’,  সেই থিমে বাজিমাত করতে বারতের ৫০টি শহরের খুদেরা অঁশ নিল। আর তাদের সৃজনীর বিচার করতে গুগল ডাকল গ্রিন গোল্ড অ্যানিমেশনের মালিক তথা ‘ছোটা ভীমে’র জনক রাজীব চিলাকা’কে, ছিলেন ভারতের অন্যতম মহিলা ইউটিউবার প্রযাক্তা কলি, নেহা ডুডলসের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রখ্যাত শিল্পী নেহা শর্মা। সঙ্গে গুগুল ডুডলের গোটা টিম। অভিনব ভাবনা, শৈল্পিক মেধা ও থিম শিরোনামের সঙ্গে সাদৃশ্য আছে এমন ছবিকেই বাছার তালিকায় রাখার কথা ছিল। ১.১ লক্ষ প্রতিযোগীর মধ্যে তাই ২০জনকে নির্বাচন করেন বিচারক মণ্ডলী। তাঁদের সৃজনী গণ ভোটের জন্য শোকেস করা হলে দেখা যায় ৬ লক্ষ জনতা ভোট দিয়ে পাঁচজনকে দলগতভাবে সেরার তকমা দিতে চায়। দিব্যাংশি দিতে নেয় সেরার শিরোপা। তার আঁকা ছবিটিই আজকের শিশু দিবসের ডুডল। আরও পড়ুন-Prince Charles: রাজধানীর মৌসম ভবন পরিদর্শনে ব্রিটেনের যুবরাজ, ই-রিকশা চড়েই ফিরে গেলেন চার্লস

পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু (Pandit Jawaharlal Nehru) শিশুদের অসম্ভভ ভালবাসতেন, তাইতো তাঁর জন্মদিনটিই ভারতীয়দের কাছে শিশু দিবস। তবে চাচা নেহরুর জন্মদিনটিকে নয়, বিশ্ব ২০ নভেম্বরকে শিশু দিবস হিসেবে নি্রবাচিত করেছে। ভারতে কিন্তু জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারিই শিশু দিবস। দিব্যাংশির ছবিতেই রইল শ্রদ্ধার্ঘ্য।