নতুন দিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) নিয়ে সমালোচনা জারি রাখলেন জেডিইউ (JDU)-র সহ সভাপতি ও পলিটিক্যাল স্ট্রাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। এবার অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এনিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, ১৬ জন অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর উপরেই ভারতের আত্মা রক্ষার দায় রয়েছে। আজ সকালে টুইটারে প্রশান্ত কিশোর লেখেন, "সংসদে ওদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। বিচার বিভাগকে ছাড়িয়ে এখন ভারতের আত্মাকে বাঁচানোর কাজটি অবিজেপি-র ১৬ জন মুখ্যমন্ত্রীর উপরেই রয়েছে। কারণ, এই রাজ্যগুলিকেও এই আইন কার্যকর করতে হবে। পঞ্জাব, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লাগু করবে না বলে জানিয়েছেন। এখন বাকিদেরও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার সময়।"
সোমবার বিধানসভায় এবং বুধবার রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতে CAB বিল পাস করায় মোদী-শাহ জুটি। এরপর থেকেই বিলের বিরোধীতায় এসেছে একের পর এক প্রতিক্রিয়া। তবে এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯-এ সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind), ফলে আইনে পরিণত হল বিলটি। বৃহস্পতিবারই মধ্যরাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। এদিনই গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে আইনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। আরও পড়ুন: CAB Protest: নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় অশান্তির চরম সীমায় অসম, পুলিশের গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫
The majority prevailed in Parliament. Now beyond judiciary, the task of saving the soul of India is on 16 Non-BJP CMs as it is the states who have to operationalise these acts.
3 CMs (Punjab/Kerala/WB) have said NO to #CAB and #NRC. Time for others to make their stand clear.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) December 13, 2019
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দলের অবস্থানের সমালোচনা করে মঙ্গলবার থেকে রোজই টুইট করে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলে এনআরসি প্রয়োগ করে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বঞ্চনা করা হতে পারে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দলের অবস্থানের সমালোচনা করে প্রকাশ্যে মন্তব্য করায় প্রশান্ত কিশোরকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে জনতা দল ইউনাইটেড। একই সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক পবন কুমার ভার্মাকেও শোকজ করেছে বিহারের শাসক জোটের বড় শরিক। এনডিএ-র শরিক জেডিইউ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে তারা।