Tripura Post Poll Violence. (Photo Credits: Twitter)

আগরতলা, ৪ মার্চ: ত্রিপুরায় ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। রাজ্যে ৬০টি বিধানসভার মধ্য়ে ৩২টি-তে জিতে সিংহাসনে ফিরছে পদ্মশিবির। বিরোধীদের ভোটভাগাভাগির ফায়দা তুলেছে বিজেপি। কিন্তু ভোটপর্ব মিটলেও হিংসা থামছে না ত্রিপুরায়। বরং পশ্চিম ত্রিপুরায় ভোট পরবর্তী হিংসা এমন জায়গায় গিয়েছে যে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করতে হল। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সব পক্ষকে সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের ক্রমশ বাড়তে থাকা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে বিজেপি। রাজ্যের একের পর এক জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। ত্রিপুরা বিজেপি অবশ্য এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে। বরং পদ্মশিবিরের অভিযোগ, ভোটে হেরে সিপিএম নেতা-কর্মীরাই তাদের ওপর হামলা করছে, আর তা প্রতিহত করছে বিজেপি। ত্রিপুরাকে বদনাম করার অপচেষ্টাতেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা বিরোধীরা বলছে বলে দাবি পদ্মশিবিরের।

কমলাপুরে বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ভিডিয়ো এখন সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভোট পরবর্তী হিংসায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও। পুলিশ, প্রশাসন সব জেনেও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে সরব বাম, কংগ্রেস নেতারা। অথচ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাম জমানার মত ত্রিপুরায় ভোট সন্ত্রাস হয় না, ভোট পরবর্তী হামলার ঘটনাও নেই। মেঘালয় থেকেও আসছে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর।

দেখুন ভিডিয়ো

দেখুন ছবিতে

দেখুন ভিডিয়ো

ত্রিপুরায় সরকার গঠনের জন্য ৩০জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে সহযোগী দল এপিএফটি-কে ধরে বিজেপির কাছে আছে ৩৩ বিধায়কের সমর্থন। সেখানে রাজ্যের ৪টি আসনে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের মার্জিন মাত্র হাজারের কম। বামেদের শক্তিশালী কেন্দ্রগুলিতে তিপরা মোথা বিরোধী ভোট কাটায় বিজেপি অন্তত আরও পাঁচটা আসনে জয় পেয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকার পরেও পাঁচ বছরে ১০ শতাংশ ভোট কমেছে বিজেপির। এদিকে, আগামী বুধবার আগরতলায় দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করছেন মানিক সাহা।