Priyanka Gandhi (Photo Credit: PTI)

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বড় দায়িত্ব দিতে চলেছে কংগ্রেস। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কার জনসভা দলের পালা হাওয়া দিয়েছিল। লড়াকু, সুবক্তা প্রিয়াঙ্কা যে দলের বড় সম্পদ তা কয়েক বছরে প্রমাণ হয়েছে। এবার সোনিয়া গান্ধীর কন্যাকে লোকসভায় প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে। প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢ়রা রবিবার বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লোকসভায় বক্তব্য জন্য ভাল একজন প্রার্থী হতে পারেন। রবার্ট বঢ়রার এমন কথার পরই জোর জল্পনা প্রিয়াঙ্কা নিশ্চিতভাবেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। এরই মধ্যে শিবসেনা (উদ্ধভ ঠাকরে)-র মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বললেন, বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিশ্চিতভাবেই জিতবেন।

সোনিয়া গান্ধী এবার সম্ভবত আর লোকসভায় প্রার্থী হবেন না। সেক্ষেত্রে রায়বারেলি থেকে প্রিয়াঙ্কার প্রার্থী হওয়ার কথা। অনেকে আবার বলছেন, কংগ্রেসকে আমেথি পুনরুদ্ধার করতে হলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীই সেরা বাজি। সেক্ষেত্রে গত লোকসভায় রাহুল গান্ধীকে হারানো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে এবার আমেথিতে প্রার্থী হবেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কংগ্রেসের একটা অংশ এবার বারাণসীতে মোদীকে কিছুতেই খালি জমি ছাড়তে নারাজ। গত দুটি লোকসভায় বারাণসীতে শক্তিশালী প্রার্থী দিতে পারেনি হাত শিবির। এবার কংগ্রেস চাইছে বারাণসীতে প্রিয়াঙ্কাকে দাঁড় করিয়ে কংগ্রেসের পালে হাওয়া টানতে। প্রিয়াঙ্কা প্রার্থী হলে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সমর্থন বারাণসীতে পাবে কংগ্রেস। গত তিনটি লোকসভা নির্বাচনে বারাণসীতে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন অজয় রাই। আরও পড়ুন-

তেরঙ্গায় মোড়ানো হোক ডিপি, 'হার ঘর তেরঙ্গা' অভিযানে দেশবাসী কাছে মোদীর অনুরোধ

দেখুন টুইট

২০০৪ লোকসভায় বারণসীতে কংগ্রেসের রাজেশ মিশ্র জেতার পর থেকে গত তিনটি লোকসভায় বিজেপির টিকিটে জেতেন নরেন্দ্র মোদী (২ বার), মুরলী মনোহর যোশী (১ বার)। ২০১৯ লোকসভা বারণসী কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী ৬৩.৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতেন। দ্বিতীয় হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির শালিনি যাদব (১ লক্ষ ৯৫ হাজার ১৫৯ ভোট), কংগ্রেসের অজয় রাই দেড় লক্ষ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। ২০১৪ লোকসভায় আপ আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে ২ লক্ষাধিক ভোট পেয়েছিলেন। মোদী জিতেছিলেন সাড়ে ৩ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে।