নতুন দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: কৃষকদের দুর্দশা সহ্য না করতে পেরে বুধবার বিকেলে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনের মধ্যেই আত্মঘাতী হলেন সন্ত বাবা রাম সিং (Sant Baba Ram Singh)। তিনি শুধু একজন সন্তই ছিলেন, পেশা ছিল কৃষিকাজ। আন্দোলনের মাঝে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। এদিকে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট কৃষকদের এই প্রতিবাদকে জাতীয় বিষয় হিসেবে দেখার কথা বলেছে। তারপর বারবেলায় সন্ত কৃষকের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা কৃষিআইন বিরোধী আন্দোলনকে অন্য মোড় দিল। এদিকে শিখ ধর্মগুরুর আত্মহননের ঘটনায় টুইটে কেন্দ্র মোদি সরকারকে একহাত নিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, নৃশংসতার যাবতীয় সীমা ছাড়িয়ে গেছে কেন্দ্রের শাসকদল। অনড় না হয়ে কেন্দ্রের উচিত কৃষি বিরোধী আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া।
करनाल के संत बाबा राम सिंह जी ने कुंडली बॉर्डर पर किसानों की दुर्दशा देखकर आत्महत्या कर ली। इस दुख की घड़ी में मेरी संवेदनाएँ और श्रद्धांजलि।
कई किसान अपने जीवन की आहुति दे चुके हैं। मोदी सरकार की क्रूरता हर हद पार कर चुकी है।
ज़िद छोड़ो और तुरंत कृषि विरोधी क़ानून वापस लो! pic.twitter.com/rolS2DWNr1
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) December 16, 2020
টুইটে রাহুল বলেন, “আন্দোলনরত কৃষকদের দূরবস্থা দেখে সন্ত কার্নালের বাবা রাম সিং কুন্ডলি সীমান্তে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর আত্মার এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমি আমার শোক জ্ঞাপন করছি। এই কৃষি আন্দোলনকে কেন্দ্র অনেক কৃষক তাঁদের জীবন দিয়ে দিলেন। মোদি সরকার নৃশংসতার যাবতীয় সীমা ছাড়িয়েছে। এভাবে অনড় না থেকে সরকারে কৃষি বিরোধী আইন ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।” সন্ত বাবা রামসিংয়ের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে দিল্লি শিখ গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির চেয়ারম্যান মনজিন্দর সিংহ সিরসা জানান, কৃষকদের দুর্দশা সহ্য করতে না-পেরেই সন্ত রাম সিং আত্মহত্যা করেছেন। আত্মঘাতী হওয়ার আগে হরিয়ানার করনালের এই সন্ত একটি চিরকুটে লিখে গিয়েছেন, “আমার মন ব্যথিত। কৃষকদের উপর জুলুমের এটাই আমার প্রতিবাদ। কেউ নিজের পুরস্কার ত্যাগ করেছে। আমি নিজের জীবন ত্যাগ করলাম।” আরও পড়ুন-Kailash Vijayvargiya: মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার পতনের নেপথ্যে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, গোপন কথা ফাঁস কৈলাস বিজয়বর্গীয়র(দেখুন ভিডিও)
এদিকে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর আজ ফের যুক্তি দিয়েছেন, কৃষকদের আন্দোলন দু’-একটি রাজ্যেই সীমাবন্ধ। কিন্তু প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে বলেন, ‘‘কৃষকদের প্রতিবাদ খুব শীঘ্রই জাতীয় বিষয় হয়ে উঠবে। কিন্তু কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের দর কষাকষি আবার ব্যর্থ হবে। কারণ, কৃষকরা কেন্দ্রের শর্ত মানবেন না। আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান করতে হবে।” বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষক সংগঠন, দুই পক্ষের উপস্থিতিতেই শুনানি হবে। কিন্তু কৃষক নেতাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট আগে তিন আইনের বৈধতা বিচার করুক।