Jammu-Kashmir: মেহবুবা মুফতি-ওমর আবদুল্লা গতকাল গ্রেফতার হয়েছেন জনসুরক্ষা আইনে, জানুন এই আইন সম্পর্কে?
মেহবুবা মুফতি-ওমর আবদুল্লা (Photo Credits: PTI)

শ্রীনগর, ৭ ফেব্রুয়ারি: কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি-ওমর আবদুল্লার (Mehbooba Mufti-Omar Abdullah) বিরুদ্ধে জারি হয়েছে জনসুরক্ষা আইন (Jammu & Kashmir's Public Safety Act)। যার ফলে গতকাল বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার হয়েছেন ওই দুজন। এঁরা ছাড়া পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) (People Democratic Party) ও ন্যাশনাল কনাফারেন্সের (National Conference) আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে এই আইন লাগু হয়েছে।

কিন্তু কী এই আইন (Act)? যার প্যাঁচে আটকা পড়লেন মেহবুবা মুফতি-ওমর আবদুল্লার মত নেতারা! চলুন জানা যাক- এই আইনে কোনও বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই একজনকে ২ বছর পর্যন্ত আটকে রাখা যায়। আটকের পর কাশ্মীরের এই দুই নেতাকে অন্তত ৩ মাস জেলে রাখা হতে পারে। তাঁদের গ্রেফতারি পরোয়ানায় এদিন সই করেন জেলাশাসকও (District Magistrate)। একটা সময় পর্যন্ত এই আইনকে বলা হত জম্মু-কাশ্মীর সুরক্ষা আইন। ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) বাবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা (Sheikh Abdullah) পাচারকারীদের ধরতে এই আইন এনেছিলেন। জনসুরক্ষা আইনকে খুবই 'কড়া আইন' বলা হয়ে থাকে। কোনও ব্যক্তির আচরণে প্ররোচনা থাকলে, বা তা যদি উত্তেজক হয় বা সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন করলে তাঁকে আটক করা যায় এই আইনে। গত সেপ্টেম্বরেও ওমর আবদুল্লার উপর এই একই ধারা প্রয়োগ করেছিল মোদি সরকার। তাঁর বাবা ফারুক আবদুল্লাকেও একই ধারা প্রয়োগে আটক করে রাখা হয়েছে। আদালতে এই নিয়ে মামলাও হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে তখনই জানানো হয়, জনসুরক্ষা আইনের আওতায় তাঁদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এই আইনে অশীতিপর এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে 'সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন' করার অভিযোগ আনা হয়েছে, যার অর্থ তিন মাসের কম সময় আটক করে রাখা। এই আইন বিশেষ করে জঙ্গি, বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে বা পাথর ছোড়ায় অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তির ওপর আনা হয়। ফারুক আবদুল্লাই প্রথম মূলস্রোতের রাজনীতিবিদ, যাঁর বিরুদ্ধে প্রথম এই জনসুরক্ষা আইন কার্যকরা করা হয়। তিনি তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদ। আরও পড়ুন: Sheena Bora Case: জামিনে ছাড়া পেলেন শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত পিটার মুখার্জি

ওমর এবং মেহবুবা মুফতি ছাড়াও ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টির আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে এদিন এই ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। অতিসম্প্রতি এনসি-র সাধারণ সম্পাদক আলি মহম্মদ সাগর, প্রাক্তন এনসি বিধায়ক বশির ভির, পিডিপি নেতা সরতাজ মাডনির উপরে একই ধারা প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু বুধবারই তাঁদের বিধায়ক হস্টেল (MLa Hostel) থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।