Ranjan Gogoi Nominated To Rajya Sabha: রাষ্ট্রপতির বদান্যতা, রাজ্যসভায় মনোনীত প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ
রঞ্জন গগৈ-এর ফাইল ছবি (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ১৭ মার্চ: কেন্দ্রের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের (Ranjan Gogoi) সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষো আলোচনা যে হয়নি তা নয়। অযোধ্যার রামমন্দির সম্পর্কিত রায় সেই গুঞ্জনকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে কর্মজীবনের একেবারে শেষ লগ্নে এসে এই রায় দেওয়ায় রঞ্জন গগৈকে নিয়ে বাবার সময় পায়নি দেশের মানুষ। তবে তাতে কি, সেই অবকাশ তো এবার মিলে গেল। রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হলেন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সোমবার সংসদের উচ্চ কক্ষের সদস্য হিসেবে তাঁর নাম মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রাক্তন প্ধান বিচারপতি কীভাবে রাজ্যসভার সদস্য হন, তানিয়ে ঊষ্মা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মিত্র।

স্বভাবতই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের এই মনোনয়ন ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভায় মনোনীত করার সিদ্ধান্তে কেন তিনি বিস্মিত হবেন না,  এনিয়ে টুইটারে কার্যত প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া মিত্র। একইসঙ্গে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে গগৈয়ের আমলে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আসা বেশ কয়েকটি ঘটনাও উল্লেখ করেছেন তিনি। ২০০১ সালে গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে জুডিশিয়াল সার্ভিসে রঞ্জন গগৈয়ের কর্মজীবন শুরু। ২০১০ সালে তিনি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বদলি হন। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নিত করা হয়। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর দেশের ৪৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। গত ১৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেন রঞ্জন গগৈ। দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর কার্যকালে কয়েকটি সংবেদনশীল মামালায় রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অযোধ্যা রামমন্দির মামলার রায়। এই সাংবিধানিক বেঞ্চের মাথায় ছিলেন বিচারপতি গগৈ। আরও পড়ুন- Footballer P.K. Banerjee's Health Condition Deteriorates: সংকটে কিংবদন্তী ফুটবলার পিকে ব্যানার্জি, ভরসা দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা

গত মাসেই সিএএ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রঞ্জন গগৈ। তিনি বলেছিলেন, “দেশের যে কটা সমস্যা এখন সামনে এসেছে তার মধ্যে একটা এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই সমস্যার সমাধান সাংবিধানিকভাবেই হওয়া উচিত। সিএএ সংক্রান্ত মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। তাই বলব বিচারপতিদের উপরে বিশ্বাস রাখুন।”