Footballer P.K. Banerjee's Health Condition Deteriorates: সংকটে কিংবদন্তী ফুটবলার পিকে ব্যানার্জি, ভরসা দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা
আত্মজীবনী প্রকাশের অনুষ্ঠানে পি কে ব্যানার্জি (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ১৭ মার্চ:  গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ইএম বাইপাস লাগোয়া মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি আছে কিংবদন্তী ফুটবলার ও কোচ প্রদীপ কুমার ব্যানার্জি (P.K. Banerjee)। সোমবার সন্ধ্যা থেকে আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থা কারাপ হতে থাকে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না পিকে, বুঝতে পেরেই তাঁকে সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। পরিবার পরিজনদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতকিছুর পরেও যে মেডিক্যাল বোর্ডে থাকা পিকে-র চিকিৎসকরা হাল ছাড়েননি। তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পিকের শারীরিক অবস্থার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান তাঁর ভাই তথা সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ফুটবলারের শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

পালমোনোলজিস্ট নন্দিনী বিশ্বাস, ইন্টার্নাল মেডিসিন ডাক্তার তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, এল এন ত্রিপাঠি এবং সুনন্দন বসুদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল টিমের অধীনে কিংবদন্তী ফুটবলারের চিকিৎসা চলছে। এমনিতেই স্নায়ুর সমস্যায় রয়েছে তাঁর। সেই সঙ্গে হৃদরোগেও ভুগছেন। এই দুই সমস্যা মাত্রা ছাড়া হতেই গত মাসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাঝে শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হলেও পরের দিকে সামলে উঠেছিলেন সেই স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের দক্ষতায়। তবে সোমবার সন্ধ্যার মেডিক্যাল বুলেটিন ফের ভয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এদিন হাসপাতালের তরফে ডাক্তার কুণাল সরকার বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতিই হয়েছে। তাঁর ব্লাড প্রেসার ও অক্সিজেনের মাত্রাও কিছুটা কমেছে। আজ সকাল থেকে চিকিৎসায় সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না উনি। কিন্তু আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফুল ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে ওনাকে। সব অঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছে না। কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি। এখনও উনি আমাদের মধ্যেই আছেন। ওনার প্রধান সমস্যা হচ্ছে হৃদযন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্রের। এছাড়া পারকিনসন্স ডিজিজও আছে। কাল সকালেই সবটা স্পষ্ট হবে।” আরও পড়ুন- Puri Jagannath Temple: করোনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে

আজ চিকিৎসকরা জানাবেন পিকে কতটা ভাল আছেন। আদৌ সুস্থ হওয়ার পথে কিনা। এদিন সাংবাদিকদের সামনে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “আমরা ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই সব ব্যাপারে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আমরা পিকের পরিবারের পাশে আছি। আমাদের লড়াই এখনও জারি আছে।”