শচিন পাইলট (Photo Credit: PTI)

জয়পুর, ১৫ জুলাই:  “আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না।” বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনের আগে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে একথাই বললেন রাজস্থানে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতা শচিন পাইলট (Sachin Pilot)। এনডি টিভি-তে শচিন পাইলটের বক্তব্য, “একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। বিজেপির সঙ্গে নাম জুড়ে দিয়ে আমাকে অপদস্থ করার একটা চেষ্টা চলছে। রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের ক্ষমতা ফেরাতে নিদারুণ পরিশ্রম করেছিলাম। আর এখনও কংগ্রেসেই আছি।” মঙ্গলবার রাজস্থানের কংগ্রেস সভাপতি ও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে শচিন পাইলটকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত হন পাইলট ঘনিষ্ঠ দুই মন্ত্রী বিশ্বেন্দ্র সিং ও রমেস মীনা।

এদিকে উপমুখ্যমন্ত্রীত্ব ও দলীয় সভাপতির পদ খোয়ানোর পরই টুইটারে হিন্দিতে শচিন পাইলট লেখেন, “সত্য সমস্যায় পড়তে পারে কিন্তু কখনওই পরাজিত হয় না।” রবিবার দিল্লিতে এক সরকারি বিবৃতিতে শচিন পাইলট বলেছিলেন, রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। কেননা ৩০ জন বিধায়ক তাঁকে সমর্থন করছেন। দলের সঙ্গে কোনওরকম কথা বার্তা না বলেই ৩০ জন বিধায়ক-সহ শচিন পাইলটের এই সরকার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধানেত রাজস্থানে কংগ্রেসের রাজনৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে। সোমবার ও মঙ্গলবার রাজস্থান কংগ্রেসের তরফে দুটি দলীয় বৈঠক ডাকা হলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজেশ পাইলটের ছেলে শচিন পাইলট। আরও পড়ুন-West Bengal Madhyamik Results 2020: অনলাইনে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ পর্ষদের, জানতে চোখ রাখুন ওয়েবসাইটে http:/wbresults.nic.in

এই প্রসঙ্গে বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রণদীপ সূরযেওয়াল বলেন, “৩০ বছর বয়সে শচিন পাইলটকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছে কংগ্রেস। ৪০ বছর বয়সে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়েছে। আমরা শচিন পাইলটকে অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছি। সাংসদ, মন্ত্রী, রাজ্যের রাজনৈতিক সভাপতির পদ। তারপরেও তিনি এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গী বিজেপির পাতা ফাঁদে পড়েছেন। আর এই ঘটনা কিছুতেই গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে না।”