চন্দ্রপুর: দুই রাজ্যের সীমান্তে বাড়ি করার যে কী জ্বালা তা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝছেন পাওয়ার পরিবারের (Pawars family) ১৩ জন সদস্য। বিভাজনের ঠ্যালায় দুভাগে ভাগ করা হয়েছে তাঁদের বাড়ি। শুধু তাই নয়, এর জন্য আলাদা আলাদা দুটি রাজ্যকে করও (Tax) দিতে হচ্ছে ওই পরিবারকে। মুখোমুখি হতে হচ্ছে এমন কিছু সমস্যার যা দুটি রাজ্যের সীমান্তে থাকা ১৪টি গ্রামের কোনও পরিবারকে সম্মুখীন হতে হয় না।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ে (ANI) প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) চন্দ্রপুর (Chandrapur) জেলার সীমাভর্তি জিভাতি তেহশিলের (Simavarti Jivati tehsil) মহারাজাগুডা (Maharajaguda) গ্রামের পাওয়ার পরিবার এমন জায়গায় বাড়ি করেছে, যার মাঝখান দিয়ে গেছে মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানার সীমান্ত (bordar)। যার ফলে কয়েক বছর ধরে দুই রাজ্যের কোষাগারেই কর জমা দিতে হচ্ছে এই পরিবারকে। আরও পড়ুন: Women Marry with Lord Vishnu: ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে বিয়ে করে খবরের শিরোনামে জয়পুরের পূজা সিং, দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও
পাশাপাশি দুই রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের (beneficiary schemes) সুবিধাও পাচ্ছে তারা। তেমনভাবে বাড়িতে থাকা আলাদা আলাদা সদস্যের গাড়িগুলির (vehicles) রেজিস্ট্রেশন নম্বর (registration numbers) মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও তেলেঙ্গানার (Telangana)।
বিষয়টি শুনে অবাক লাগলেও এটা সত্যি যে মহারাজাগুডা গ্রামে পাওয়ারদের ১০ কামরা বাড়ি আছে সেটি দুভাগে বিভক্ত। যার মধ্যে চারটি কামরা রয়েছে তেলেঙ্গানার সীমানায় আর চারটি রয়েছে মহারাষ্ট্রের মধ্যে। সেখানে দুই ভাই উত্তম পাওয়ার ও চান্দু পাওয়ারের পরিবারে ১৩ জন সদস্য বেশ কয়েক বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। তেলেঙ্গানায় থাকা রান্নাঘরে রান্না করা খাবার নিয়ে এসে মহারাষ্ট্রে থাকা হলে খেয়ে এই রাজ্যে থাকা বেডরুমে শুয়ে পড়ছেন।