জয়পুরের গোবিন্দগড়ের কাছে নরসিংহপুরা গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছরের পূজা সিং, যিনি ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে বিয়ে করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। গত ৮ ডিসেম্বর পূজা সিং ভগবান বিষ্ণুকে বিয়ে করেন। এই খবর সামনে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গেছে , বিয়ে করা নিয়ে লোকেদের কটূক্তিতে বিরক্ত হয়ে পূজা সিং আগেই বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া দেখে তিনি ভেবেছিলেন আমি বিয়ে করব না, যদিও সমাজের লোকজন তাকে কটূক্তি করতেই থাকে। এসব কটূক্তি এড়াতে এক অভিনব উপায় বের করেন পূজা, মন্দিরে থাকা ঠাকুরের সঙ্গেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত ৮ ডিসেম্বর এই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর পূজা তার বাড়িতে থাকে এবং সকালে ভগবানের পূজা করে। তাদের জন্য পোশাক তৈরি করে সন্ধ্যায় দর্শনে যায়।
পূজা জানান, ''আমার বয়স ৩০ বছর। সাধারণত, মেয়েদের বিয়ে হয় ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সে। সম্পর্ক প্রায়ই আসত। লোকেরা আমার বাবা-মাকে তাদের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য কথা শোনাতে শুরু করেছিল, কিন্তু আমার মন এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হত, ঝগড়ায় তাদের জীবন নষ্ট হয়ে যেত এবং নারীদের খুব খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হত।
তাই বড় হওয়ার সাথে সাথে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি বিয়ে করব না। আমি আমার বাবা-মাকে আগেই বলেছিলাম যে আমি বিয়ে করতে চাই না, এর মধ্যে কিছু ছেলেও আমাকে দেখতে এসেছিল, এবং একবার বা দুবার সম্পর্কটা একরকম পিছিয়ে গেল। এদিকে তুলসীবিবাহের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিলাম। তুলসী বিয়ের কথা শুনেছি। মাতামহের বাড়িতেও একবার দেখেছি। ভেবেছিলাম ভগবান যখন তুলসীজিকে বিয়ে করতে পারেন তখন আমি কেন পারব না। পুরোহিতকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনিও বললেন এটা হতে পারে।এর পর মায়ের সাথে কথা বললে প্রথমে তিনি বললেন এটা কিভাবে হতে পারে কিন্তু পরে রাজি হয়ে গেলেন।আমরা বাবাকে জানালে তিনি রেগে যান। এবং এই রাগারাগির কারণে বাবাও এই বিয়েতে আসেননি।সমাজ আমাকে ঠাট্টা করেছে,কিন্তু আমি ঈশ্বরকে আমার স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছি।সমাজের অনেকেই সমর্থন করেছেন এবং অনেকে আমাকে নিয়ে মজাও করেছেন।