নতুন দিল্লি, ১৪ জানুয়ারি: এবার সাংসদদের পাতে থাকবে না আমিষ, তেমনই বন্দোবস্ত হতে চলেছে পার্লামেন্টের ক্যান্টিনে (Parliament canteen)। খুব শিগগির পার্লামেন্টের সমস্ত খাবার নিরামিষ হতে চলেছে। এতদিন সেখানকার ক্যান্টিনের দায়িত্বে ছিল আইআরসিটিসি। এবার তাদের বিদায় জানানো হবে। বদলে আসবে বিকানেরের উজিয়াওয়ালা। তাই বিরিয়ানি, চিকেন কাটলেট, ফিশ অ্যান্ড চিপস। পার্লামেন্টের ক্যান্টিনে এই সব 'সিগনেচার ডিশ' আর থাকবে না। সংসদের ক্যান্টিনে খাবারের মাত্রাতিরিক্ত কম দাম অনেক সময়ই খবরে উঠে এসেছে। অনেকটাই কমানো হবে ক্যান্টিন বাবদ সরকারের দেওয়া ভর্তুকির পরিমাণও। আইআরসিটিসি-র বদলে এবার ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্বে বিকানিরওয়ালা বা হলদিরামের মধ্যে কোনও একটি বেসরকারি সংস্থা আসতে চলেছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, এই দুটি সংস্থাই সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার বিক্রি করে। তাই পার্লামেন্টের ক্যান্টিনের দায়িত্বে এই সংস্থা দুটির কোনও একটি এলে সেখানে যে আর আমিষ পদ মিলবে না, তা স্পষ্ট। যাঁরা এতদিন ভাবতেন বেশ চর্ব্য চোষ্য লেহ্য পেয় কব্জি ডুবিয়ে কাবেন পার্লামেন্টের ক্যান্টিনে সেই আশায় ছাই পড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। আরও পড়ুন-Satya Nadella on CAA: 'কোনও বাংলাদেশীকে ইনফোসিসের পরবর্তী সিইও হতে দেখলে আমি খুশি হব', সিএএ বিরোধিতায় মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেল্লা
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা খুব শিগগিরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। খাবারের মান নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠায় আইআরসিটিসি-কে ক্যান্টিনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। নতুন সংস্থাকে 'লাভও নয়, ক্ষতিও নয়' ভিত্তিতে খাবার বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হবে। এবার সংসদে ক্যান্টিনে খাবারের দাম অনেকটাই বাড়বে। ভর্তুকি উঠে গেলে সরকারি কোষাগারের বার্ষিক ১৭ কোটি টাকা বেঁচে যাবে।