জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল(Photo Credit: PTI)

দিল্লি, ৭ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীরিদের বেশিরভাগই ৩৭০ ধারার (Article 370) বিলোপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা বুঝেছেন, এবার উপত্যকার উন্নতি হবে। শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ আসবে। চাকরি ক্ষেত্রেও সুদিনের মুখ দেখবে কাশ্মীরের যুব সমাজ। তাইতো ৩৭০ ধারা বিলুপ্তিতে কোনও অশান্তি হয়নি। কিছু মানুষ যে বিরোধিতা করেছে তাঁদের পিছনে রয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। তবে ভুল বুঝিয়ে কিছু করা যাবে না মানুষ তার ভালটা বেশ বোঝে। এখনও পর্যন্ত উপত্যকার বেস কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও তা সংখ্যায় নগন্যই। পাঁচ আগস্টের পর এক মাস কেটে গিয়েছে। মানুষ এখন খোলা মনে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছে। ১৯৯টি থানা এলাকার মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের উপরে এখনও বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।

কাশ্মীরের মানুষকে ৩৭০ ধারা বিলোপের কারণ বোঝাতে পেরেছি। তাঁরা উন্নয়নের আগমণী শুনতে পেয়েছেন। স্পেশ্যাল স্টেটাস বিলুপ্তির মাস খানেক পর মুখ খুলে একথাই বললেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী অজি ডোভাল (NSA Ajit Doval)। কেন্দ্র যখন উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয় তখন সেখানকার বাসিন্দাদের গতিবিধি বুঝতে দীর্ঘদিনের জন্য শ্রীনগরেই ঘাঁটি গেড়েছিলেন দোভাল। তিনি এদিন বলেন, পাকিস্তানের মোবাইল টাওয়ার ব্যবহার করে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় জঙ্গিরা তাদের অপারেশন চালাচ্ছে। রেডিও তরঙ্গ ইন্টারসেপ্ট করে তথা আড়ি পেতে জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর টাওয়ার ব্যবহার করে জঙ্গিদের কোড ল্যাঙ্গুয়েজে তথা সাংকেতিক ভাষায় ‘মেসেজ’ পাঠানো হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢুকে পড়া জঙ্গিদের বলা হচ্ছে, “আপেল ভর্তি এত এত ট্রাক কী করে চলছে? আটকাতে পারছো না? আমারা কি তোমাদের জন্য হাতের চুড়ি পাঠাব?” আরও পড়ুন-ভূস্বর্গে ফের পাক অনুপ্রবেশ, জঙ্গির গুলিতে আহত শিশুকন্যা-সহ ৪ কাশ্মীরি

এই প্রসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বলেছেন, পাকিস্তানি জঙ্গিদের হাত থেকে কাশ্মীরি নাগরিকদের রক্ষা করতে নিরাপত্তাবাহিনী বদ্ধপরিকর। এবং তা করা হবেই। সোপর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে দু’জন জঙ্গি গতকাল টার্গেট করেছিল এক ফল ব্যবসায়ীকে। তাঁকে না পেয়ে দোকানের মধ্যে ঢুকে তাঁর দুই ভাইকে গুলি করে। বাদ দেয়নি শিশুকেও। ফলব্যবসায়ীর দুই ভাইয়ের চিকিৎসা চলছে। ওই দুই জঙ্গি পাঞ্জাবিতে কথা বলছিল, দু’জনই পলাতক। তবে তাদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী।