শ্রীনগর, ৭ সেপ্টেম্বর: ফের উপত্যকায় জঙ্গিহানা, শনিবার সাত সকালেই জঙ্গিদের গুলি চালানোর খবর মিলল কাশ্মীরের। উপত্যকার সোপর জেলার ড্যাঞ্জেরপোরা এলাকায় গুলির খবর এসেছে। এলোপাথাড়ি গুলিতে এখনও পর্যন্ত সাতজন স্থানীয় বাসিন্দার আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছে এক শিশুকন্যা। তার নাম উমর জান। প্রত্যেককেই স্থানীয় হাসাপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনিতেই ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে উপত্যকায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি অনেকটাই বেশি। তারমধ্যে এই দুর্ঘটনার খবরে আরও উত্তেজনা ছড়িয়েছে. জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই এখনও চলছে কি না তানিয়ে কোনও স্পষ্ট খবর নেই। তবে কাশ্মীর পুলিশের তরফে জঙ্গিদের গুলিতে স্থানীয়দের আহত হওয়ার খবর মিলেছে।
গত ১৫ দিনের মধ্যে এনিয়ে উপত্যকায় দুবার জঙ্গিরা হামলা চালাল। এর আগে গত ২৬ আগস্ট কুপওয়ারায় গুজ্জর উপজাতির এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। পাশাপাশি আর একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃত ব্যক্তি সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পায়নি সেখানকার পুলিশ ও সেনা বাহিনী। গত ২০ তারিখে উপত্যকায় এক জঙ্গিকে পাকড়াও করে সেনাবাহিনী। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম কাশ্মীর থেকে কোনও জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল সেনা। আরও পড়ুন-নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারেই ২ হাজার পাকা সেনা, বাড়ছে জঙ্গির সংখ্যাও সতর্ক নজরদারিতে ভারত
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সংসদে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রসঙ্গ তোলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এর পরেপরেই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হয়। ৬ তারিখে এই মরমে গেজেট পাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ওদিকে ৩৭০ দারা বিলোপকে কেন্দ্র করে উত্তাল হতে পারে উপত্যকা এমনটা মনে করেই তার আগে থেকে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছিল। অমরনাথ যাত্রার শেষের দিকে তীর্থযাত্রীদের অমরনাথ দর্শন স্থগিত রেখে শ্রীনগরে ফিরে আসার পরামর্শ দেয় প্রশাসন। তারপর তড়িঘড়ি তাঁদের কাশ্মীরের বাইরে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় বিপুল সংখ্যাক সেনা ও পুলিশ মোতায়েন কেন্দ্র করে উপত্যকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে তাতে পাত্তা দেয়নি কেন্দ্র। বরং চার তারিখ রাতেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করা হয়। পরে তাঁদের সতর্কতা মূলক গ্রেপ্তার করে কাশ্মীরের পুলিশ। একইভাবে গৃহবন্দি হেয়ছিলেন ফারুক আবদুল্লাও। তবে দি্লিতে থাকায় এই বন্দিদশার হাত থেকে সেসময় নিস্তার পান গুলাম নবি আজাদ।