আজ ৬ জুন, অপারেশন ব্লু স্টারের ৪০ বছর বর্ষপূর্তি। আর তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিখ সম্প্রদায়ের একটা বিরাট অংশের মানুষ ভিড় জমিয়েছে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে। বছরখানেক ধরে পঞ্জাবে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে খালিস্তানীরা। ভারতমুক্ত পঞ্জাবের দাবি জানিয়ে চলছে বিক্ষোভ। এদিন মন্দির চত্বরে জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের (Jarnail Singh Bhindranwale) সমর্থনে পোস্টার দেখা যায়। সেই সঙ্গে খালিস্তানপন্থী স্লোগানও শোনা যায় এদিন। যদিও এই দিনে যাতে কোনও অশান্তি না ঘটে তার জন্য মন্দির চত্বরে কড়া পুলিশি প্রহরা রাখা হয়েছে।

এমনকী এই কর্মসূচিতে দেখা যায় শিরোমণি অকালি দলের সুপ্রিমো সিমরনজিৎ সিং মানকেও। তাঁর মুখেও শোনা যায় খালিস্তানী সমর্থনে স্লোগান। প্রসঙ্গত, এই শিরোমণি অকালি দল একসময়ে এনডিএ-র শরিক ছিল। পরবর্তীকালে মোদীর হাত ছেড়ে ইন্ডিয়া জোটে সামিল হয়। এই জোটে প্রধান দল কংগ্রেস। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কিন্তু ভোটের আগে এনডিএ বা ইন্ডিয়া কোনও জোটে না গিয়ে এককভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ভোটের ফল ঘোষণা হলেও এখন অবধি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। তবে এদিন খালিস্তানের সমর্থকদের সঙ্গে সিমরনজিৎ সিং মানকে দেখার পর বিতর্ক আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

এদিকে লোকসভা নির্বাচনের পর পঞ্জাব নিয়ে আলাদা করে চিন্তিত কেন্দ্র। কারণ এই রাজ্য থেকে উঠে এসেছেন দুই খালিস্তানী নেতা। একজন ওয়ারিস দে পঞ্জাব সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল সিং। যিনি ভিন্দ্রানওয়ালে ২.০ নামেও পরিচিত। বর্তমানে অসমের ডিব্রুগড়ে দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য জেলবন্দি রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে খাদুর সাহিব লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় দুই লক্ষ ভোটে জয়ী হয়েছেন। এবং অপরজন হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বিন্ত সিংয়ের ছেলে সরবজিৎ সিং খালসা। তিনি আবার ফরিদকোট কেন্দ্র থেকে জিতেছেন।