Supertech Twin Tower (Photo: ANI)

নয়ডা, ২৮ অগাস্ট: আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। বিস্ফোরণ (Blast) ঘটিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার (Supertech Twin Towers)।। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে আজ দুপুর আড়াইটের সময় ভেঙে ফেলা হবে টুইন টাওয়ার। এই জোড়া বহুতলের একটির নাম অ্যাপেক্স। উচ্চতা ১০০ মিটার। অন্যটির নাম সিয়ানে। তার উচ্চতা ৯৭ মিটার। এই যমজ টাওয়ার কুতুব মিনারের চেয়েও লম্বা। বিস্ফোরণের পর মাত্র ৯ সেকেন্ডে টুইন টাওয়ার। ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে।

মুম্বইয়ের এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এই কাজ করবে। তাদের সাহায্য করছে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সংস্থা। পিলারে প্রায় ৭ হাজার গর্তে বিস্ফোরক ঢোকানো হয়েছে। এই গর্তগুলি প্রতিটি ২ মিটার, অর্থাৎ মোট ১৪ কিমি গর্তে বিস্ফোরক ঢোকানো হয়েছে। সবকিছু একত্রিত করতে ২০ হাজার সার্কিট সেট করা হয়েছে। এমনভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে যাতে টাওয়ারটি সোজা হয়ে মাটিতে পড়ে। টাওয়ার ভেঙে পড়ার পর ৫৫ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ সরাতে সময় লাগবে অন্তত তিন মাস। আরও পড়ুন: Mithali Raj Meets JP Nadda: নাড্ডার সঙ্গে দেখা করলেন মিতালি রাজ, বিজেপি-তে যোগদানের জল্পনা

টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার জন্য বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে আধ ঘণ্টার জন্য ট্র্যাফিক বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ ২টো ১৫ মিনিট থেকে ২টো ৪৫ মিনিট পর্যন্ত যান চলাচল করবে না। প্রায় ১৫০ পোষা প্রাণী, আড়াই হাজার গাড়ি-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ৭ হাজার বাসিন্দাকে সকাল ৭টার মধ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেক বাসিন্দা ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছে। অন্যরা আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে থাকছেন। টুইটার টাওয়ার ধ্বংসের পর বিকাল ৪টের মধ্যে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংযোগ আবার চালু করা হবে। বাসিন্দাদের বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে।ধ্বংসের সময় টুইন টাওয়ারের ১.৮ কিলোমিটার মধ্যে কোনও বিমান উড়বে না।

৫৬০ জন পুলিশ কর্মী, রিজার্ভ ফোর্সের ১০০ জন, ৪টি কুইক রেসপন্স টিম এবং এনডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। টুইন টাওয়ারের আশপাশ থেকে সকলকে সরে যাওয়ার জন্য মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে। যাকেই আশপাশে দেখা যাচ্ছে, তাকেই সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন ও অ্যাম্বুলেন্স আনা হবে।