![](https://bnst1.latestly.com/wp-content/uploads/2022/07/First-Time-Sex-380x214.jpg)
নয়াদিল্লি: যৌন সঙ্গমে (sex) অনুমতি (consent) দেওয়ার বয়সসীমা ১৮-এর নিচে (reduce) করার কোনও পরিকল্পনা নেই (no plan) বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিল কেন্দ্র (Centre)। রাজ্যসভায় সিপিআই সাংসদ (CPI MP) বিনয় বিশ্বমের (Binoy Viswam) প্রশ্নের লিখিত জবাব দিতে গিয়ে বুধবার একথাই স্পষ্ট করে দিলেন নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (women and child development minister Smriti Irani)।
সিপিআইয়ের সাংসদ তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন বর্তমানে থাকা সম্মতিমূলক সঙ্গমের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার জন্য। তার উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানান, এই ধরনের বিষয় নিয়ে এখনও কোনও আলোচনাই হয়নি। তাই সম্মতিমূলক যৌন সঙ্গমের বয়স ১৮ বছরই থাকছে। কারণ ২০১২ সালের পকসো আইন ( Pocso Act) অনুযায়ী, নাবালক-নাবালিকাদের যৌন হেনস্থা ও যৌন অপরাধ থেকে রক্ষা করার জন্যই এই আইনের প্রণয়ন করা হয়েছিল। এতে পরিষ্কার ভাবে বলে দেওয়া আছে কারও বয়স ১৮-এর নিচে হলেই তাকে শিশু হিসেবে গণনা করা হবে। তাঁর এই মন্তব্য পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয় বর্তমানে এই বিষয় নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তাতে সরকারের চিন্তাভাবনা কী।
গত ১১ ডিসেম্বর ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) সম্মতিমূলক যৌন সম্পর্কের বিষয়ে দেশের আইন প্রণেতাদের চিন্তাভাবনা করতে বলেছিলেন। এই বিষয়ে অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে সেই ব্যাপারটিও উল্লেখ করেছিলেন।
২০১৯ সালে ওই আইনের আওতায় বিধিতে বেশ কয়েকটি বদল আনা হয়। সেখানে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের শাস্তিতে একাধিক কঠোর বিধি পালিত হয়। শিশুদের ওপর যৌন অত্যাচারে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির কথাও ওই পকসো আইনের আওতায় বলা হয়েছে।
রাজ্যসভায় প্রশ্ন ওঠে বালিকা বিবাহ নিয়েও। সেই সম্পর্কে স্মৃতি ইরানি জানান, জাতীয় ক্রাইম ব্যুরো রেকর্ড অনুযায়ী গত কয়েক বছরে বালিকা বিবাহের সংখ্যা দেশে বেড়েছে। তবে স্মতি ইরানি দাবি করেন, এটি বালিকা বিবাহের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অঙ্কই শুধুমাত্র প্রকাশ করছে না, তার সঙ্গে অসচেতনতার বার্তাও দিচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারতে বালিকা বিবাহের সংখ্যা ৫২৩ টি ছিল। সেখানে ২০২০ সালে সেই সংখ্যা ৭৮৫ টি হয়েছে। ২০২১ সালে সেই সংখ্যা ১০৫০ টি হয়েছে।