স্কটল্যান্ড, ৬ আগস্ট: সোমবার থেকেই উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানা মত দেখা যাচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে কেউই এসবের বাইরে গিয়ে শুধু মাত্র কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মতামত নিয়ে কিছু বলেননি। কাশ্মীরিরা আদৌ ৩৭০-এর বিলুপ্তি চাইছেন কি না চাইলেও তার ধরণটাই বা কেমন এবিষয়ে সকলে মুখে কুলুপ এঁটেছে। আর কাশ্মীরিদের মতামত জানার পরামর্শ দিয়ে একদল নেটিজেনের আক্রমণের মুখে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও লেখক উইলিয়াম ডালরিমপেল। কাশ্মীর নিয়ে ইতিহাসবিদকে ভাবতে মানাই করে দিল ৩৭০-এর বিরোধীরা। আরও পড়ুন-৩৭০ পরবর্তী কাশ্মীরের পুনর্গঠনে অজিত ডোভাল-ই কাণ্ডারী, আপাতত থাকছেন শ্রীনগরে
উল্লেখ্য, কিছুই করেননি উইলিয়াম ডালরিমপেল। তিনি শুধুমাত্র নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি কার্টুন পোস্ট করে তার সঙ্গে লিখেছিলেন কাশ্মীরিদের কথা শোনা হোক। তাতেই উপচে পড়েছে কমেন্ট বক্স। ইতিহাসবিদের টুইটের জবাবে তাই ৩৭০ ধারা বাতিলের সমর্থকদের একজন বর্তমান সম্পর্কে মন্তব্য না করে তাঁকে ভারতের অতীত নিয়েই ব্যস্ত থাকার উপদেশ দিয়েছেন। কেউ আবার ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত ডালরিমপেল–কে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। ৩৭০ বিলোপের আগে কাশ্মীরিদের সঙ্গে নাকি কেন্দ্রের কথাও হয়েছে। এই তথ্য ইতিহাসবিদ জানেন না। এমনও মন্তব্য করেছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে সন্ত্রাস ও লুণ্ঠন নিয়ে লেখা ডাররিমপেলের সাম্প্রতিকতম বই ”দ্যা অ্যানার্কি” বা নৈরাজ্য প্রকাশ করতে চলেছে বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা ব্লুমসবারি। তার আগে এহেন টুইট ইতিহাসবিদকে আলোচনার শীর্ষে এনে ফেলল। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ইতিহাস, শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করছেন উইলিয়াম ডারলিমপেল। সেকারণেই ৩৭০ ধারা’র যৌক্তিকতা নিয়ে লেখক কোনও অভিমত ব্যক্ত করেননি। এমনকী এই ধারা বাতিল করা ভুল হয়েছে এমন মতামতও দেননি। তাঁর টুইট থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে উইলিয়াম ডালরিমপেল ধারা বাতিলের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও স্বদেশাভিমানী মানুষের কাছে তাঁর এই মন্তব্য যে ভালো ভাবে পৌঁছবে না সেটা তিনি ভালভাবেই জানতেন। এদিকে কাশ্মীরের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে মতামত প্রকাশ করতে অ–ভারতীয়রা কিছুটা সঙ্কোচ বোধ করেন। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই তাঁদের মতামত অনধিকার চর্চা হিসেবে গণ্য হতে পারে, এই সাবধানতায় মন্তব্য করা থেকে তাঁরা সাধারণত বিরত থাকেন। সেই প্রেক্ষিতে স্কটিশ লেখক উইলিয়াম ডালরিমপেলের মতামত যথেষ্ট ব্যতিক্রম বলেই মনে করছেন নেটিজেনদের একাংশ।