বেতুল, ১১ জুলাই: এক মণ্ডপে এক সঙ্গে দুই কনেকে বিয়ে করলেন বর। একজন তাঁর প্রেমিকা, অন্যজন বাবা মায়ের পছন্দ করা পাত্রী। বিয়েতে হাজির গ্রামের সব মানুষ। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বাসিন্দা ওই যুবকের বিয়ের কাণ্ড দেখে স্তম্ভিত সকলেই। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার ঘোদাডোংরি ব্লকের কেরিয়া গ্রামে (Madhya Pradesh)।
জানা গেছে, আদিবাসী যুবক সন্দীপ যে দুজন মহিলাকে বিয়ে করেছেন তাঁদের একজনের বাড়ি হোশদাবাদ জেলায় এবং অন্যজনের বাড়ি ঘোদাডোংরি ব্লকের কয়ালারি গ্রামে। পড়াশোনার জন্য ভোপালে থাকতেন সন্দীপ। সেখানেই সন্দীপের সঙ্গে হোশদাবাদ জেলার ওই যুবতীর পরিচয় হয়। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠ। এদিকে সন্দীপের বাড়িতে তখন বিয়ের তোরজোর শুরু হয়ে যায়। ঘোদাডোংরি ব্লকের কয়ালারি গ্রামে ঠিক হয় পাত্রী। সন্দীপের বাবা-মা মেয়ে পছন্দ করে কথা পাকা কথা দিয়ে এসেছেন। এই নিয়ে বিবাদ শুরু হয় তিন পরিবারের মধ্য়ে, যা চরম আকার নেয়। সমস্য়া সমাধানে পঞ্চায়েত তিন পরিবারকে ডেকে পাঠায়। সেখানে স্থির হয়, যদি উভয় যুবতী সন্দীপের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে রাজি থাকেন, তাহলে দু'জনকেই বিয়ে করতে পারে যুবক। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান দুই যুবতী। সেই মতো দুই কনেকে একই মণ্ডপ বসিয়ে বিয়ে করেন। আরও পড়ুন : Diamond-Studded Face Masks: বিয়েতে হীরে বসানো মাস্ক পরবেন নাকি? দাম মাত্র ১ লাখ থেকে শুরু
একথা জানাজানি হতেই সন্দীপের বাড়িতে শুরু হয় প্রবল অশান্তি। যাতে শেষ পর্যন্ত হাত দিতে হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতকে। সালিশিসভা ডেকে এর বিচার করা হবে ঠিক হয়। রাজি থাকলে দুজন যুবতীকেই বিয়ে করবে সন্দীপ। সম্মতি জানায় দুজন যুবতীর পরিবারও। তারপরেই বুধবার মহাধূমধামের সঙ্গে তিন পরিবারের উপস্থিতিতে সাতপাকে বাঁধা পরেন তিন জন।
এদিকে করোনাভাইরাসের এই মহামারীর জেরে বর্তমানে বিবাহানুষ্ঠানের জন্য সরকারের তরফে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। সূত্রের খবর, বিয়ের আয়োজন ও বা এই সম্পর্কে কোনও তথ্যই জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়নি। ঘোড়াডোংরি মহকুমাশাসক মণিকা বিশ্বকর্মা জানান, করোনাভাইরাসের আবহে বিয়েতে জনসমাগম কথা মাথায় রেখে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই বিয়ের তদন্ত করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।