নতুন দিল্লি, ৮ ডিসেম্বর: আজ মঙ্গলবার ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। এই ভারত বনধের (Bharat bandh) নেপথ্যে রয়েছে সাম্প্রতিক কালে গৃহীত তিন কৃষি আইন। মূলত এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই ১৩ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ওই একই দাবিতেই আজ ভারতজুড়ে বনধ ডাকা হয়েছে। তবে, সাধারণ মানুষের সমস্যা তৈরি না করেই বনধ পালিত হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কিসান সংগঠন। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত চাক্কা জ্যামও চলবে। বিজেপি-বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই কৃষকদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু বনধ চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক দলকেই মঞ্চে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। আরও পড়ুন-North Bengal Bandh: পুলিশের লাঠির ঘায়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকের মৃত্যুর অভিযোগে ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকল বিজেপি
- এদিকে বনধের মধ্যে জনজীবন সচল রাখতে দিল্লিতে যান চলাচলের রুটে ব্যাপক পরিবর্তন। দিল্লি-হরিয়ানার সংযোগস্থল সিঙ্ঘু সীমানা বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে অউচঁদি, পিয়াউ মনিয়ারি এবং মঙ্গেশ সীমানাও। দুই দিক থেকে বন্ধ ৪৪ নম্বর জাতী সড়ক। তারপ বদলে লামপুর। সফিয়াবাদ, সাবোলি সীমানা হয়ে ঘুরে যেতে হবে। মুকারবা এবং জিটিকে রোড থেকে সমস্ত গাড়ি ঘুরপথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আউটার রিং রোড, জিটিকে রোড এবং ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশ।
- বিক্ষোভ ঠেকাতে লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে জলকামান, কোনও কিছুই বাদ রাখেনি পুলিশ। দিল্লির ঠান্ডার মধ্যেও সে সব হজম করে গিয়েছেন কৃষকরা। পুলিশের মোকাবিলা করতে গিয়ে কখনও আন্দোলন হিংসাত্মক আকার ধারণ করেনি। তাই বন্ধ কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে কোনও রকম অশান্তি দানা না বাঁধে, সে ব্যাপারে সচেতন তাঁরা।
- দিল্লির ট্যাক্সি ইউনিয়ন কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থন করলেও মুম্বইয়ের ট্যাক্সি ইউনিয়ন পরিষেবা চালু রাখার কথা বলেছে। একই সঙ্গে বেস্ট বাস পরিষেবা দিনভর অব্যাহত থাকবে।
- তবে ভারত বনধে যোগ দিচ্ছে না কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। আরএসএস অ্যাফিলিয়েটেড সংস্থা ভারতীয় কিষাণ সংঘ।
- কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতাদল, ডিএমকে, এনসিপি, সিপিআই, সিপিআইএম, সিপিআইএমএল, আরএসপি, এআইএফবি, এআইইউডিজি, গুপকার অ্যালায়েন্স, শিবসেনা, বিএসপি, টিআরএস কৃষকদের সমর্থন করেছে।
- এদিকে সংসদে কৃষি আইনের বিরোধিকায়পুরোভাগে থাকলেও কৃষকদের ডাকা ভারত বনধে অংশ নেয়নি।