অতিশী মারলেনা (ছবিঃPTI)

জেলমুক্ত হওয়ার পরেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল (CM Arvind Kejriwal) ঘোষণা করেন আগামী ২ দিনের মধ্যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। আগামী কয়েকমাস পরেই দিল্লিতে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তিনি জিতলে আবারও মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে বসবেন। ফলে এই কয়েকমাস কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী অতিশি অবশ্য বলেন, এখন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটাই যে দিল্লিতে যতদিন আম আদমি পার্টির সরকার থাকবে ততদিন জনগণের সেবা হবে। আসলে এখন আমরা দেখতে চাই যে দিল্লিবাসী কী চায়? কেন্দ্র সরকার বা নির্বাচন কমিশন যদি আজকেই বিধানসভা নির্বাচন করাতে চায়, তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

অতিশি বলেন, বিগত ২ বছর ধরে ভারতীয় জনতা পার্টি আম আদমি পার্টিকে সমস্যা ফেলার জন্য সবধরণের চেষ্টাই চালিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল অসংখ্য তল্লাশি অভিযান চালিয়ে, অজস্ত্র অফিসারকে এই কেসের দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু ১ টাকারও দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারেন নি। উল্টে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র সরকার ও তাঁদের এজেন্সি ইডি ও সিবিআইকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনাও করেছে। কোর্ট বলেছে, এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি। মনে হচ্ছে খাঁচায় রাখা তোতাপাখিদের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে এজেন্সিগুলিকে। এই কথা আমরা নয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেছেন। বিচারপতি আরও বলেছেন যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলদের নিরপেক্ষ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে অতিশি বলেন, বিজেপি নির্বাচন নিয়ে ভয় পাচ্ছে। কারণ তাঁরা বুঝতে পেরেছে যে দিল্লিবাসী তাঁদের ওপর রেগে রয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ছয়মাস জেলবন্দি করে রাখার কারণে তাঁরা বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ। আর সেই কারণেই তাঁরা ভোট হোক সেটা চায় না। কারণ যদি এই মুহূর্তে নির্বাচন হয়, তাহলে একটি আসনও তাঁরা পাবেন না, ৭০-এর মধ্যে সবকটি আসনেই আপ জিতবে বলে আমাদের বিশ্বাস।