প্রতীকী ছবি(ANI)

ধামতারি, ৩১ মার্চ: তামিলাড়ু থেকে ফিরেছিলেন। সংক্রমণ এড়াতে বছর ৩৫-এর যুবককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছিল ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) স্বাস্থ্য দপ্তর। এবার কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন অবস্থায় আত্মঘাতী হলেন ওই যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের ধামতারির তাগাপানি এলাকায়। অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মণীষা ঠাকুর জানিয়েছেন, ওই যুবকের শরীরে করোনা সংক্রান্ত কোনও উপসর্গ ছিল না। তবুও সাবধানতার কারণে তাঁকে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মৃত যুবক কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। তবে লকডাউনের কারণে বাড়িতে চলে এসেছিলেন। আত্মঘাতী হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে বছর খানেক আগে স্ত্রী ও পুত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দারুণ আঘাত পান যুবক।

জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এদিকে মহারাষ্ট্র থেকে দুজন গ্রামে ফিরেছেন। করোনা হেল্প সেন্টারে খবর দিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর (beaten to death) শিকার যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সীতামারির মাধাউল গ্রামের। মৃত যুবকের নাম বাবলু কুমার(২০)। তাঁদের গ্রামের দুই যুবক মহারাষ্ট্র কাজ করত। লকডাউনের জেরে তারা গ্রামে ফিরেছে। এদিকে বাইরে থেকে কোনও বাসিন্দা গ্রামে এলে যেন হেল্প সেন্টারে খবর দেওয়া হয়। আগেই এই প্রচার চলেছে। তাই বাবলু কুমার হেল্প সেন্টারে গিয়ে দুজেনর গ্রামে ফেরার খবর দেন। তাই বাধ্য হয়েই দুই যুবককে করোনা হেল্প সেন্টারে গিয়ে লালারসের নমুনা জমা করতে হয়। এই ঘটনায় বেজায় চটে যায় দুই যুবকের পরিবারের সদস্যরা। আরও পড়ুন-Bihar Man Beaten To Death: মহারাষ্ট্র থেকে ২ জন গ্রামে ফিরেছেন, করোনা হেল্প সেন্টারে খবর দেওয়ায় গণপ্রহারে মৃত্যু যুবকের

এরপরই তারা বাবলু কুমারের বাড়িতে চড়াও হয়ে, তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত বাবলু কুমারকে স্থানীয় রুন্নিসায়িদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানান্তর করা হয় মুজাফ্ফরপুর শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে দুঃখের বিষয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এরপরেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত পরিবারের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। গ্রামে বাইরে থেকে কেউ এলেই করোনা হেল্প সেন্টার ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। আগেই বিহারের সরকারের তরফে এই নির্দেশাবী জারি হয়েছে। তবে যাঁরা ইনফর্মারের ভূমিকা পালন করবেন, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেনি সরকার। যে কারণে বেঘোরে প্রাণ খোয়ালেন বাবলু কুমার।