
কলকাতা, ২৯ মে: ফের শহরে হৃদযন্ত্রের (Heart Transplant) সফল প্রতিস্থাপন হল। এনিয়ে চারবার হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনে সফলতা দেখাল শহরের হাসপাতাল। বছর ৪৭-র অনুষা অধিকারীর শরীরে বসল মুম্বইয়ের কিশোরের হৃদযন্ত্র। বছর সাতচল্লিশের অনুষা গত ছ’মাস ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে খবর। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার গভীর রাতে বাইপাসের ধারে ফর্টিস হাসপাতালে (Fortis Hospital) তাঁর সফল প্রতিস্থাপন হয়েছে।এই ঘটনায় স্বস্তির শ্বাস শহরের চিকিৎসক মহলে।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার মুম্বইয়ে এক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে গ্লোবাল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে তার ব্রেনডেথ হলে চিকিৎসকরা মৃত কিশোরের পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে অঙ্গদানে রাজি করান। তারপর শুরু হয় গ্রহীতার খোঁজখবর। ইতিমধ্যেই ফর্টিস হাসপাতালের কাছে এই তথ্য এসে পৌঁছালে শুরু হয়ে যায় তৎপরতা। সমস্ত কাগুজে ফর্মালিটিজ সম্পূর্ণ করে মঙ্গলবার রাতেই মুম্বই থেকে কলকাতা উড়িয়ে আনা হয় সেই হৃদযন্ত্র। দমদম বিমান বন্দর থেকে গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশ সেই হৃদযন্ত্র হাসপাতালে পৌঁছে দেয় ১৬ মিনিটে। হৃদযন্ত্র নিয়ে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্বিঘ্নেই পেরিয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। তারপর কার্ডিয়ো ভাস্কুলার সার্জন কে এম মান্ডানা(K M Mandana) এবং তাপস রায়চৌধুরির (Tapas Roy Chowdhury) নেতৃত্বে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপিত হয়, অনুষাদেবীর শরীরে।
জানা গিয়েছে মাস ছয়েক ধরে ডাইলেটেড কার্ডিও মায়োপ্যাথি রোগে ভুগছিলেন ওই মহিলা। এর জেরে দিনের পর দিন তাঁর হৃদযন্ত্রের রক্ত সঞ্চালন কমে যাচ্ছিল।ডাক্তারের কাছে গেলে জানতে পারেন, একমাত্র নতুন হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপিত হলেই তিনি সুস্থ হবেন। তারপর থেকে ফর্টিস হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার রাতে প্রতিস্থাপনের খবর পেয়ে দ্বিতীয়বার ভাবেনি ওই মহিলার পরিবার। বুধবার বেলারদিকে হাসপাতালের তরফে সফল প্রতিস্থাপনের কথা জানানো হয়। এই মুহূর্তে অনুষা অধিকারী স্থিতিশীল থাকলেও তিনি ঠিক কতটা সুস্থ আছেন তা জানতে এখন ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।