নতুন দিল্লি, ২ অগাস্ট: বর্তমানে সরকারি ও সরকারি সাহায়্য়প্রাপ্ত স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে (National Education Policy) এবার মিড ডে মিলের (Mid-day Meals) সঙ্গে সকালের খাবার (Breakfast) দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সপ্তাহের গোড়ার দিকে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে যে পুষ্টিকর প্রাতঃরাশ পড়ুয়াদের জন্য ফলপ্রসূ হতে পারে এবং তাই মধ্যাহ্নভোজের সঙ্গে প্রাতঃরাশ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, "বাচ্চারা অপুষ্টিতে ভুগলে বা অসুস্থ থাকাকালীন সর্বোত্তমভাবে শিখতে পারে না। সুতরাং, স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের (মানসিক স্বাস্থ্য সহ) বিষয়টি দেখা হবে। এছাড়াও প্রশিক্ষিত সমাজকর্মী, কাউন্সিলরদে মাধ্যমে তারা মানসিকভাবেও শক্তি করে তোলার বিষয়টি রয়েছে।" নীতিতে যোগ করা হয়েছে, গবেষণায় দেখা গেছে যে সকালে পুষ্টিকর প্রাতঃরাশের পর অধ্যয়ন ফলপ্রসূ হতে পারে এবং তাই মধ্যাহ্নভোজ ছাড়াও একটি সহজ তবে পুষ্টিকর প্রাতঃরাশ দেওয়া যেতে পারে।" আরও পড়ুন: HRD Ministry Renamed as Ministry of Education: মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম হয়ে গেল 'শিক্ষা মন্ত্রক'
নীতিতে বলা হয়েছে, যেখানে গরম খাবার দেওয়া সম্ভব নয় সেখানে পুষ্টিকর খাবার-- চিনাবাদাম বা ছোলা গুড় দিয়ে মেশানো এবং স্থানীয় ফল দেওয়া যেতে পারে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, "সমস্ত স্কুলের বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং এটি পর্যবেক্ষণের জন্য স্বাস্থ্য কার্ড প্রদান করা হবে।" সংশোধিত নীতিমালায় প্রস্তাব কর হয়েছে যে ৫ বছর বয়সের আগে প্রতিটি শিশুকে একটি প্রস্তুতিমূলক ক্লাস নেওয়া হবে। ওই ক্লাসের জন্য বাচ্চাদের মিড ডে মিল দেওয়া হবে।