প্রতীকী ছবি (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৮ ফেব্রুয়ারি: এই মুহূর্তে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। এ ইট নিয়ে ছুটে এলে ও পাটকেল নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যেই পুলওয়ামা হামলার বর্ষপূর্তি হয়েছে। যে হামলায় একসঙ্গে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। এই ঘটনার আঁচ এখনও বিদ্যমান। এরপর থেকেই ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। এখন যদি কোনও কারণে জম্মু ও কাশ্মীরে বড় ধরনের কনোও নাশকতার ঘটনা ঘটে তাহলে এই দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধে তাহলে ঘোরতর যুদ্ধ বেধে যাবে। দুটোই পরমাণু শক্তিধর দেশ তাই যুদ্ধের পরিণতি কী হতে পারে তা বেশ অনুমান করা যায়। তেমন কিছু হলে ১২৫ মিলিয়ন মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনা প্রবল। এমনই তথ্য প্রকাশ করল মিউনিখ সুরক্ষা প্রতিবেদন ২০২০ (Munich Security Report 2020)।

উল্লেখ্য, ২০১৯ থেকে কাশ্মীর সমস্যাকে মুখ্য করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। চিনের নাক গলানো এই পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ভারত ইতিমধ্যেই তিনটি স্তরে পরমাণু শক্তির প্রমাণ দিয়ে ফেলেছে। পাকিস্তানও কম যায় না, তারাও প্রমাণ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। এমন চলতে থাকলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমশ দুর্বলই হবে। সেক্ষেত্রে পুলওয়ামা হামলা এধরনের চিন্তাকে বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই মনে করছে মিউনিখ সুরক্ষা প্রতিবেদন। এই উত্তেজক পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে কোনও জঙ্গি হামলা হলে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা আরও তরাণ্বিত হবে। আরও পড়ুন-Actor Chiranjait On Tapas Pal: ‘ভাই হারালাম মনটা ভেঙে গেল’, তাপস পালের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ চিরঞ্জিৎ, কেঁদে ফেললেন দেবশ্রী, কী বললেন অন্যরা?

মিউনিখ সুরক্ষা প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, মনে করা হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের হাতে এখন ১০০ থেকে ১৫০টি স্ট্র্যাটেজিক পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। যদি যুদ্ধ বাধে তাহলে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েত পারে। একপক্ষ ব্যবহার করলে প্রতিপক্ষ তো ছেড়ে কথা বলবে না। এমন যদি সত্যিই ঘটে তাহলে বাতাসে দূষণ মাত্রা তীব্র হবে। ১৬ থেকে ৩৬ মিলিয়ন টন কার্বণে ঢাকবে বায়ুমণ্ডল। ভারত পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে তা ১২৫ মিলিয়ন প্রাণহানির সম্ভাবনা নিশ্চিত। কেননা পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারে প্রকৃতিত বিরাট প্রভাব পড়বে। ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমবে সূর্যের কিরণ। জমির উর্বরতা একধাক্কায় ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ নেমে যাবে। সমুদ্রের উৎপাদন কমবে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ।