চন্ডীগড়, ২৯ জানুয়ারি: রাকেশ টিকাইতের আহ্বানের জেরে কৃষক আন্দোলন এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। শুক্রবার হরিয়ানার (Haryana) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিল্লি সীমান্তে এসে হাজির হলেন শ'য়ে শ'য়ে কৃষক। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের তীব্র বিরোধিতায় ধাপে ধাপে তীব্র বিরোধিতায় কৃষক আন্দোলন (Farmers' Protest) আরও শক্তিশালী হচ্ছে। সরকারের কোনও বাধায় তাদের আন্দোলন শ্লথ করতে পারবে না, হুঁশিয়ারি কৃষকদের। ২৮ জানুয়ারি মধ্যরাতের মধ্যে খালি করে দিতে হবে গাজিয়াবাদ প্রতিবাদস্থল। গাজিয়াবাদ প্রশাসনের তরফে কড়া ভাষায় বার্তা দেওয়া হয়েছিল কৃষকদের। কিন্তু সেই সমস্ত হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করেই একটু একটু করে ভিড় বাড়ছে উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে।
কৃষক সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই লুকআউট নোটিশ জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। জিন্দ, রোহতাক, কৈথাল, হিসার, ভিওয়ানি এবং সোনিপাত থেকে শ'য়ে শ'য়ে কৃষক জড়ো হয়েছেন টিকরি, সিঙ্ঘু, গাজিপুর এলাকায়। সরকার কৃষকদের সঙ্গে অন্যায় করছেন তিন কৃষি বিরোধী আইন প্রত্যাহার না করে, এমনটাই দাবি করেন বিকেইউ-র মুখপাত্র রাজেশ টিকাইত।
অন্যদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিঙ্ঘু সীমানা। কৃষক আন্দোলন বিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শুরু হয় কৃষকদের। প্রতিবাদকারী কৃষকদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়া হয়। কৃষকদের বিরোধিতায় স্লোগান ওঠে, এলাকা খালি করার হুঙ্কার ওঠে। স্লোগান ওঠে 'খলিস্তান মুর্দাবাদ'। শুধু স্লোগানই নয়। প্ল্যাকার্ড হাতেও অনেকেই প্রতিবাদ দেখায় কৃষকদের বিরোধিতায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাসের সেল পাঠায় পুলিশ।