তীব্র গরমে নাজেহাল দেশবাসীর জন্য সুখবর দিল দেশের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি )। প্রতি বারের মতোই এ বারও কেরালা দিয়ে দেশে বর্ষা প্রবেশ করবে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর কেরালায় প্রবেশ করা কথা ছিল ১ জুন, তারপর ক্রমশ উত্তরের দিকে অগ্রসর হবার কথা তাঁর। তবে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস নির্ধারিত ১ জুনের পরিবর্তে ১দিন আগেই ৩১ মে থেকে দেশের মূল ভূখণ্ডে ঢুকতে শুরু করবে বর্ষা।তবে ৪ দিনের এদিক ওদিক হতে পারে।গত বছর ৮ জুন কেরালায় প্রবেশ করেছিল বর্ষা, এ বার তার থেকে আগেই প্রবেশ করতে পারে। পাশাপাশি মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে যে স্বাভাবিকের থেকে এ বার বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে দেশে।
ভারতের মত কৃষিপ্রধান দেশে বর্ষা প্রায় ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির প্রাণশক্তি। গত বছরের গড় বৃষ্টিপাতের পরে কৃষকরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল।ভারতের কৃষিক্ষেত্রে, খামারগুলিতে জল, জলাধার এবং জলাশয়গুলিকে ভরে তুলতে প্রয়োজন প্রায় ৭০% বৃষ্টির। কারণ এখনো ভারতের প্রায় অর্ধেক কৃষিজমি সেচের জলের ভরসা ছাড়াই ফসল ফলানোর জন্য বার্ষিক জুন-সেপ্টেম্বর মাসের বৃষ্টির উপর নির্ভর করে।
প্রসঙ্গত আইএমডি জানিয়েছিল, ১৯ মে আন্দামান এবং নিকোবরে বর্ষা প্রবেশ করবে, যা নির্ধারিত সময়ের কয়েক দিন আগে। একইভাবে কেরলে পয়লা জুন নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ভারতের মূল ভূখণ্ডে ঢুকে পড়বে বলে অনুমান আবহাওয়া দপ্তরের। সাধারণত গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টি ১ জুনের আশেপাশে কেরালা রাজ্যে আঘাত হানতে শুরু করে এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময়েই দেশে ধান, ভুট্টা, তুলা, সয়াবিন এবং আখের মতো ফসলের রোপণ শুরু করা হয়।