মথুরা লোকসভা কেন্দ্রে অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার বিজেন্দর সিং-কে দাঁড় করাল কংগ্রেস। বিজেন্দরই দেশের প্রথম অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার। মথুরায় গত দু'বার অনায়াসে জয়ী বলিউডের তারকা অভিনেত্রী হেমা মালিনী-র বিরুদ্ধে বিজেন্দরের লড়াই বেশ কঠিন হবে। কারণ গতবার এই লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস মাত্র ১৮ হাজার ভোট পেয়েছিল, সেখানে ২০১৯ লোকসভা ভোটে হেমা-র জয়ের ব্যবধান ছিল ৩ লক্ষের কাছাকাছি। তবে বিজেন্দরের সুবিধা হল এবার সমাজবাদী পার্টির সমর্থন তিনি পাচ্ছেন। যেটা গতবার ছিল হেমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয়ন্ত চৌধুরী আরএলডে প্রার্থীর দিকে। এবার আরএলডি শেষ মূহূর্তে অখিলেশ যাদবের হাত ছেড়ে বিজেপি-র সঙ্গে জোট গড়েছেন।
এর আগে বিজেন্দর ২০১৯ লোকসভায় দক্ষিণ দিল্লি কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। তবে গতবার দক্ষিণ দিল্লিতে বিজেপির রমেশ বিদুরি বনাম আপ-এর রাঘব চাড্ডার হাইপ্রোফাইল লড়াইয়ের মাঝে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ভোট পেয়েছিলেন বিজেন্দর। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা সময় বিজেন্দরকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায়। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় হেঁটেছেন ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে বক্সিংয়ে পদকজয়ী বিজেন্দর।
গত দুটি লোকসভা ভোটে মথুরায় বিজেপি-র টিকিটে দাঁড়িয়ে হেমা মালিনীর জয়ের ব্যবধান যথাক্রমে ৫ লক্ষাধিক ও ৩ লক্ষের কাছাকাছি। কিন্তু সমস্যা হল গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে হেমা নিজের কেন্দ্রে একদম সময় দেন না। স্থানীয় দলীয় নেতারাও তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান না বলে অভিযোগ। যে কারণে হেমা-কে এবার আর প্রার্থী হিসেবে চাননি মথুরা বিজেপির একাংশ। কিন্তু অমিত শাহ শেষ অবধি হেমা-কে সাংসদ হিসেবে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ দেন।
বিএসপি এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে কমলাকান্ত-কে। এই কেন্দ্র গতবার সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টি-র সমর্থনে প্রার্থী ছিলেন আরএলডি প্রার্থী। কিন্তু অভিযোগ ছিল এসপি-র ভোট আরএলডি প্রার্থী পেলেও মায়াবতীর দলের ভোট যায় হেমা মালিনীর দিকে। এবার সেখানে বিএসপি-র প্রার্থী থাকায় ত্রিমুখি লড়াইয়ে খেলা জমে যেতে পারে। তবে হেমার ক্ষেত্রে সুবিধা হল এই লোকসভার সব কেন্দ্রেই বিজেপির বিধায়ক, আর দলের সংগঠন দারুণ মজবুত। তাই ড্রিম গার্লকে হারাতে হলে ড্রিম পাঞ্চার বিজেন্দরকে বড় অঘটন ঘটাতে হবে।