নতুন দিল্লি, ২৬ জুলাই: আজ মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান 'মন কি বাতে' (Mann Ki Baat) বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। এটি এই অনুষ্ঠানের ৬৭ তম পর্ব। বেলা ১১টা থেকে তিনি মন কি বাত অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন। কারগিল বিজয় দিবসে শহিদ জওয়াদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এক নজরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য:
- কারগিল যুদ্ধ যে পরিস্থিতিতে হয়েছিল ভারত তা কখনই ভুলতে পারবে না। পাকিস্তান সেখানে ঢুকে পড়ে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে মনোযোগ সরাতে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন… .শত্রুরা পাহাড়ে ছিল এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনী নীচে থেকে লড়াই করেছে।
- পাকিস্তান কারগিলে দুঃসাহস দেখিয়েছিল। ভারতের বন্ধুত্বের জবাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল পাকিস্তান। ভারতের পিঠে ছোরা ঢুকিয়েছিল পাকিস্তান। ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছিল ভারতীয় সেনারা। কাগলিল যুদ্ধ সেনাদের সম্মান রেখেছিল।
- বন্ধুরা, সেই সময়ে, আমিও কারগিলে গিয়ে আমাদের জওয়ানদের বীরত্ব দেখার প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছি। সেদিনটি আমার জীবনের অন্যতম মূল্যবান মুহূর্ত।
- আমি লক্ষ্য করছি, আজ লোকজন দেশজুড়ে কারগিল বিজয়ের স্মৃতি স্মরণ করছে। সোশাল মিডিয়ায় তারা সাহসী বীরদের সেলাম জানাচ্ছে।
- আজ আমি, সকল দেশবাসীর পক্ষ থেকে সাহসী সেনাদের সেলাম করছি… .আর তাঁদের সঙ্গে আমি সেই সাহসী মায়েদেরও সেলাম জানাই যারা সত্যিকারের বীরদের জন্ম দিয়েছেন, মাদার ইন্ডিয়ার পুত্র।
- বন্ধুরা, অটল জি কারগিল যুদ্ধের সময় লাল কেল্লা থেকে যা বলেছিলেন তা আজও আমাদের সকলের মনে আছে। যুদ্ধের সময় আমরা যা কিছু বলি বা করি না কেন তা সেনাদের মনোবল বাড়ায়। যারা সীমান্তে সদা সতর্ক থাকে এবং তাঁদের পরিবারের মনোবল বাড়ায়
- অনেক সময়, সারাংশকে গুরুত্ব না দিয়ে আমরা সোশাল মিডিয়াতে এমন কিছু বিষয়কে উৎসাহিত করি যা দেশের জন্য ক্ষতিকারক। আমরা নিছক কৌতূহল থেকে শেয়ার করি এটি ভুল তা জানা সত্ত্বেও, আমরা এটা শেয়ার করে যেতে থাকেই থাকি।
- আমার প্রিয় দেশবাসী, গত কয়েকমাস ধরে দেশ যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, বহু আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করেছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আজ আমাদের দেশে সুস্থতার হার ভালো। একজনেরও মৃত্যু হলে তা দুঃখজনক। কিন্তু দেশ লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে সফল হয়েছে।
- একদিকে, আমাদের সচেতনতা ও সতর্কতার সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। অন্যদিকে, নিখরচায় অধ্যবসায়..ব্যবসা, চাকরি বা পড়াশোনার মাধ্যমে আমাদের যে দায়িত্বই দেওয়া হবে তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।