ইম্ফল, ২৫ জুলাই: মণিপুর হিংসায় আঁতকে ওঠা ছবি, ভিডিয়ো দেখে গা শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশের। হিংসা থামাতে পুরোপুরি ব্যর্থ প্রশাসন। মণিপুরে ৩ মে অশান্তি ছড়িয়ে পড়তেই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।নেট সর্বস্ব দুনিয়ায় ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা থাকা মণিপুরের সাধারণ মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ। কারণ ব্যাঙ্ক, আদালত থেকে পঠনপাঠন-ওয়ার্ক ফ্রম হোম সবই ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে নেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায়। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। এরই মাঝে মণিপুর সরকার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যে আংশিক ইন্টারনেট চালু করার।
হিংসা ছড়ানোর কথা মাথায় রেখে ধীরে ধীরে রাজ্যের সর্বত্র ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে বলে মণিপুর সরকার জানিয়েছে। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল সহ কিছু জায়গায় বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে অফিস, ব্যাঙ্ক সহ কাজের জায়গা ফের কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পথে যেতে পারে। আরও পড়ুন-বিজেপি-র সঙ্গে জোট নিয়ে কাকা-ভাইপোর পর এবার বাবা-ছেলে দ্বন্দ্ব! কুমারস্বামী পদ্মাসনে, দেবেগৌড়ার তীব্র বিরোধিতা
দেখুন টুইট
Manipur government orders earlier suspension of Broadband internet service be "lifted conditionally in a liberalised manner" pic.twitter.com/1FEfCCppQb
— ANI (@ANI) July 25, 2023
তবে মোবাইল নেট বা মোবাইল ডেটায় নিষেধাজ্ঞা থাকছে। ফলে সাধারণ মানুষ ঘরে বসে ইন্টারনেটের ব্যবহার করতে পারবে না। মূলত সরকারী অফিস, ব্যাঙ্কগুলিতেই চালু হচ্ছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা।
উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে নেট নিষেধাজ্ঞা সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। মামলাকারীদের দাবি, ইন্টারনেট বন্ধ করার মাধ্যমে একদিকে সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের অধিকার এবং অন্যদিকে নিজেদের সামাজিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগের কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই। ফলে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা পুরোপুরি বেআইনি বলে দাবি করেন তাঁরা।