আইজল, ১০ সেপ্টেম্বর: মাদক-সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জিনিসের চোরাচালানে কাজে লাগানো হচ্ছে চিনা বাইক। প্রতিবেশী দেশ মায়ানমার থেকে ঢুকছে মাদক। যে কারণে কেনবো মোটর সাইকেলের (Kenbo Bike) ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল মিজোরাম সরকার। বুধবারই চিনের তৈরি এই কেনবো মোটর সাইকেলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। তবে অনেকেই বলছে চোরাচালান একটা কারণ নয়, বেজিঙের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের এই সীমান্ত রাজ্যটি। মিজোরাম সরকারের পদস্থ কর্তা জানান, এই কেনবো টু-হুইলার চিনে তৈরি। ফলে মিজোরামে নথিভুক্ত নয়। দেশের বাইরে থেকে রেজিস্ট্রিহীন এই বাইকের আমদানি ইদানিং বেড়েছে। রাজ্যের রাস্তাঘাটে চিনা টু-হুইলার ভরে যাচ্ছে। বিশেষত, মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া চম্পাই, হনথিয়াল, লাংটলাই, সেরছিপের মতো জেলাগুলিতে।
উল্লেখ্য, মিজোরাম-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি চালায় বিএসএফ। মায়ানমার-মিজোরাম সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছে অসম রাইফেলস। মিজোরাম সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ২৯ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য এই দুই আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে হেরোইন-সহ একাধিক ধরনের মাদক রয়েছে। মিজোরাম পুলিশের দাবি, মূলত চিনা বাইকগুলিকেই এই চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের উপর মহলের নজরে আসার পরেই যে কারণে চিনা বাইকে নিষেধজ্ঞা আরোপ হয়েছে। ইয়াবা ট্যাবলেট বা পার্টি ট্যাবলেট নামের মাদকটি বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও ইদানীং ছড়িয়ে পড়েছে। মেথামফেটামিনের সঙ্গে ক্যাফিন মিশিয়ে তৈরি হয় এই ড্রাগ। শুধু ভারত-বাংলাদেশ নয়। প্রতিবেশী অন্যান্য দেশগুলিতেও এই ট্যাবলেটের হাইডোজ মাদক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বিএসএফ ও অসম রাইফেলসের দাবি, ইয়াবা-সহ অন্যান্য মাদকের আমদানি হচ্ছে মায়ানমার থেকে। এরপর কেনবো মোটর সাইকেলে চড়ে সেই ড্রাগ ছড়িয়ে পড়ছে উত্তরপূর্বের সব রাজ্যে। এমনকী প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাতেও পৌঁছাচ্ছে সেই ড্রাগ। আরও পড়ুন-Adhir Chowdhury: সোনিয়া-রাহুলের প্রস্তাব, ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বে অধীর চৌধুরীকোভিড মহামারীর কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ৩১৮ কিলোমিটার ও মায়ানমারের ৪০৪ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করা রয়েছে। একই কারণে ত্রিপুরা, অসম, মণিপুরের সীমানাও সিল করে রেখেছে এই রাজ্যটি। তার পরেও কিন্তু চোরাচালান বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে মিজোরাম সরকার। করোনা সংকটের মধ্যেও রমরমিয়ে চলছে চোরাচালান। এই তালিকায় দামী বিদেশি সিগারেট, গোলাবারুদ এমনকী আগ্নেয়াস্ত্রও রয়েছে।