কলকাতা, ১০ সেপ্টেম্বর: গত জুলাইতে প্রয়াত হয়েছেন কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র। প্রায় মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে টালবাহানা চলার পর বুধবার মধ্যরাতে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকেই (Adhir Chowdhury) প্রদেশ সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করল এআইসিসি। মূলত কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশেই ফের প্রদেশ সভাপতির পদে ফিরলেন অধীরবাবু। জানা গিয়েছে, অধীরবাবু যখন কোনও তুলনায় নবীনকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলছেন, তখন অশীতিপর কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করতে শুরু করে দেন দলের মধ্যে। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। তিনি সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়ে বলেন, অধীর চৌধুরীকেই প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হোক।
সোমেনবাবুর মৃত্যুর পর পরই প্রদেশ সভাপতির দায়িত্বের জন্যই অধীরবাবুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের তরফে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক গৌরব গগৈ। তবে লোকসভায় দলের দায়িত্ব যে তাঁর কাঁধেই রয়েছে, তা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি বহরমপুরের ভূমিপুত্র। এদিকে ঘরোয়া আলোচনায় গৌরব জানিয়েছেন, আসলে অধীরবাবু ছাড়া বিকল্প নেই। রাজ্য কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাই সবথেকে বেশি। গৌরবের সেই যুক্তিই মেনে নিয়েছে হাইকম্যান্ড। তার পর সোনিয়া-রাহুলের প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন অধীরবাবুও। এদিন এআইসিসি-র ঘোষণার পর অধীরবাবু বলেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী যে আমার উপরে আস্থা রেখেছেন সে জন্য আমি যারপরনাই কৃতজ্ঞ। বাংলায় সাংগঠনিক ভাবে দল দুর্বল। দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য এর আগেও চেষ্টা করেছি আমি। এবারও অন্যথা হবে না। আরও পড়ুন-West Bengal Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখা, রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টিতে ভিজবে পশ্চিমবঙ্গ
সংসদের অধিবেশনের আগে দিল্লি যাবেন বলে বুধবারই বহরমপুর ছেড়েছিলেন অধীরবাবু। কিন্তু কলকাতায় এসে জানতে পেরেছেন দিল্লির সিদ্ধান্ত। রাতে রয়ে গিয়েছেন শহরেই। ঠিক হয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবারই বিধান ভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে তার পরে দিল্লি যাবেন বহরমপুরের সাংসদ। অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমি কংগ্রেসের সৈনিক। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা এবং কর্মীদের প্রত্যাশা, দু’টোই পূরণের জন্য চেষ্টার ত্রুটি করব না।’’