নির্যাতিতার দেহ সৎকার পুলিশের (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ৬ অক্টোবর: সকালের বড়মাপের হিংসা এড়াতেই রাতে হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার দেহ সৎকার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এ কথাই বলল যোগী সরকার। একই সঙ্গে দাবি, '২৯ সেপ্টেম্বর সকাল থেকেই হাথরসের জেলা প্রশাসনের কাছে ইনটেলিজেন্ট ইনপুট আসছিল। বলা হয়েছিল, সফদরজং হাসপাতালে ধরনা চলছে। গোটা বিষয়টি জাতপাত ও ধর্মের রঙ নিতে পারে।' পুলিশ এও জানিয়েছে যে, তাদের কাছে খবর ছিল, পরদিন সকালে ওই গ্রামে দুই জাতিরই প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিকরা জমায়েত করতে চলেছেন, যেটা হিংসাত্মক রূপ নিতে পারে এবং তার থেকে আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে বড়সড় সমস্যা হতে পারে।

গত ১ সেপ্টেম্বর নারকীয় অত্যাচারের শিকার হন হাথরাসের দলিত তরুণী। তিন হাসপাতাল ঘুরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। ওদিন রাতেই মৃতার গ্রামের অদূরেই পুলিশ তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেয়। এনিয়ে দেশজুড়ে হইচই পড়েছে। এদিন শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায় রাত ২.৩০টেয় নিগৃহীতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার যুক্তি দিতে গিয়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায়দানের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তারা বলেছে, পরদিনই বাবরি মামলারক রায়দান থাকায় জেলাজুড় সে দিন হাই অ্যালার্ট জারি করা ছিল। UP সরকারের কথায়, 'এরকম গুরুতর ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় যে, পরিবারের সম্মতি নিয়ে সব ধর্মীয় আচার পালন করে রাতেই দেহটির শেষকৃত্য করা হবে। যাতে মৃত্যু ও ময়নাতদন্তের পর প্রায় ২০ ঘণ্টা পরে থাকা দেহটি পরদিন সকালে শেষকৃত্যের সময় বড় ধরনের হিংসার ঘটনা এড়ানো যায়।' আরও পড়ুন-Soumitra Chatterjee: করোনার থাবা, বেলভিউতে ভর্তি অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জি

এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও মৃতার পরিবারের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদের ছবি ধরা পড়ে। মেয়েটির শেষকৃত্যের পর অসহায়ভাবে কাঁদতে দেখা গিয়েছে তাঁর মাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মৃতার আত্মীয়রা। স্বভাবতই বিজেপি শাসিত যোগী সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিরোধে নেমেছে বিরোধী কংগ্রেস।