নতুন দিল্লি, ৩ জুলাই: লাদাখে চিনের (China) সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে জাপানকে (Japan) পাশে পেল ভারত। নতুন দিল্লিতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এমন কিছু না ঘটা উচিত যাতে ভারত ও চিনের মধ্যে বর্তমান স্থিতাবস্থা পাল্টে যায়। এককথায় আগ বাড়িয়ে চিনের আগ্রাসী নীতিকেই আক্রমণ করেছে জাপান। পাশে থেকেছে ভারতের। ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠকের পরে ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি (Satoshi Suzuki) শুক্রবার বলেন, "বিদেশ সচিব হর্শ শ্রিংলার সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কী অবস্থা তা নিয়ে ওঁর বক্তব্যের যুক্তি আছে এবং ভারত সরকারের নীতি অনুসারে আমরা চাই সীমান্তে শান্তি বজায় থাকুক। জাপান চায় কথাবার্তার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হোক। স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের যে কোনও একতরফা প্রয়াসের বিরোধিতা করে জাপান।"এক তরফা চেষ্টা সেটা কোনওভাবেই চায় না।"
১৫ জুন গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত চিনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়। তারপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সমালোচনার মুখে পড়ে চিন। এর আগে জাপান সরকার জানিয়েছিল, তাঁরা চান এই দুই দেশের সম্পর্ক যেন কথাবার্তার মাধ্যমে সহজে সমাধান করা যায়। পাশাপাশি তাঁরা গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন বলেও জানান। আরও পড়ুন:
চিনের (China) সঙ্গে সংঘাতের আবহে আজ লাদাখে (Ladakh) এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সেনা প্রধান এমএন নারাভানে ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের লাদাখ আসার কথা ছিল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে আজ বোরে রাজনাথের বদলে লাদাখ চলে এলেন নরেন্দ্র মোদি। লাদাখ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। ১১,০০০ ফুট উঁচুতে সিন্ধু নদের ধারে লাদাখের নিমুতে সেনা, বায়ু সেনা ও আইটিবিপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। সেখানে জওনাদরে সামনে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পুরো দেশের বিশ্বাস আছে যে আপনারা সীমান্তে আছেন। দেশ রক্ষায় আছেন। দেশের জন্য আপনারা দিন-রাত কাজ করছেন। আত্মনির্ভর ভারত আপনাদের ত্যাগ, বলিদানে ও পুরুষত্বের কারণে আরও মজবুত হবে। আপনারা যে বীরতা দেখিয়েছেন, তাতে পুরো বিশ্ব বুঝে গেছে আমাদের শক্তি। আপনাদের কাজ আমাদের প্রেরণা দেয়।"