বেঙ্গালুরু, ৩১ জুলাই: নাম বিভ্রান্তির কারণে ভুলবশত এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার (Arrest) করেছিল। আদালতের নির্দেশে এবার সেই ব্যক্তিই ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ (Compensation) পাবেন। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) কালিদাসা লেআউটে। ৫৬ বছরের নিঙ্গারাজু এন হাইকোর্টে দাবি করেছিলেন যে ২০১১ সালে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত রাজু এনজিএন তিনি নন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করে কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court) বলেছে, "এটি খুবই মর্মান্তিক যে গ্রেফতার করার প্রয়োজন কি না, ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে কি না, এসব না খতিয়ে দেখেই একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।"
বিচারপতি সুরজ গোবিন্দরাজ ৭ জুলাই দেওয়া তাঁর রায়ে উল্লেখ করেছেন যে, "ওই ব্যক্তির পরিচয় ক্রস-চেক এবং যাচাই করা হয়নি, যার ফলে একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।" হাইকোর্ট বলেছে যে সংবিধানের ২১ ধারা অধীনে নিশ্চিত জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার সর্বোত্তম এবং এক্ষেত্রে মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন হয়েছে। আদালত বলেছে যে স্বাধীনতার পাশাপাশি সুনাম নষ্ট করার জন্য রাষ্ট্র তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে দায়বদ্ধ। তাই আদালত নির্দেশ দিচ্ছে ওই ব্য়ক্তিকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার।" আরও পড়ুন: Mann Ki Baat: মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাতে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কী কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
তাঁর বাবার (নিঙ্গেগৌদা) নামের সঙ্গে ওয়ারেন্টে নাম থাকা ব্যক্তির নামের মিল থাকার কারণেই নিঙ্গারাজুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, "আমরা বুঝতে পারছি না যে বাবার নাম একই রকম বা এমনকি অভিন্ন হওয়ার কারণে কাউকে গ্রেফতার করা হবে। একই যুক্তি তুলে ধরলে, একজন ভাইয়ের নামে ওয়ারেন্ট থাকলে কি অন্য ভাই বা এমনকি বোনকে গ্রেফতার করা যেতে পারে, কারণ বাবার নাম অভিন্ন।" ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধ করার জন্য হাইকোর্ট পুলিশকে পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ, যদি এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য নির্দেশিকা বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ইতিমধ্যে জারি করা হয়, তবে সমস্ত কর্তাদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। যদি এই ধরনের একটি এসওপি ইতিমধ্যেই না থাকে, তাহলে ডিজিপি নির্দেশিকা জারি করবেন।