Tabrez Ansari Lynching Case: তাবরেজ আনসারির মৃত্যু গণপিটুনিতে নয় হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে, নয়া মেডিকেল রিপোর্ট পেশ  ঝাড়খণ্ড পুলিশের
তাবরেজ আনসারি (Photo Credits: Twitter/Rahul Gandhi)

রাঁচি, ১৩ সেপ্টেম্বর: Tabrez Ansari Lynching Case: Skull Injuries Preceded Cardiac Arrest: তাবরেজ আনসারির (Tabrez Ansari) গণপিটুনিতে (Mob lynching)  মৃত্যু হওয়ার রিপোর্টকে খারিজ (denied) করে দেয় ঝাড়খণ্ড পুলিশ (Jharkhand Police)। ময়নাতদন্তের একটি নতুন মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতে তাবরেজ আনসারির গণপিটুনি নয়, হৃদরোগে (Cardiac Arrest) আক্রান্ত হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে গণপিটুনির ঘটনায় ধৃত ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিল পুলিশ। ফলে খারিজ হয়ে গেল ঝাড়খণ্ডে বাইক চোর সন্দেহে তাবরেজকে গণহত্যার অভিযোগ।

ইন্ডিয়া টুডের (India Today) রিপোর্ট অনুযায়ী, জামশেদপুরের (Jamsedpur) এমজিএম (MGM Medical College) মেডিকেল কলেজে ৫ বিভাগীয় প্রধানের রিপোর্টে বলা হয়েছে মাথায় গুরুতর ছোট লাগার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় তাবরেজ। এর ফলে হার্টে রক্তচাপ প্রবল হতে শুরু করে। রিপোর্টার শেষে বলা হয়েছে, 'হাড়ে ফাটল, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া সমস্ত কিছু নিয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে যায় তাঁর।' আরও পড়ুন, Bank Strike : সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে ধর্মঘট, এমাসে টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক

ঝাড়খণ্ড পুলিশের সিনিয়র অফিসার কার্তিক এস জানান, মেডিকেল রিপোর্টে গণপিটুনিতে হত্যার পক্ষে কোনও সমর্থনযোগ্য প্রমাণ মেলেনি যার ভিত্তিতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করতে পারে। তিনি জানান, দুটি পৃথক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তাবরেজ আনসারি। যদিও মৃত তবরেজ আনসারির পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঝাড়খন্ড পুলিশ জানায়, তাঁরা কেবলমাত্র মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুন ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলা-খারসওয়ানে বাইক চোর সন্দেহে তাবরেজ আনসারিকে কয়েক ঘন্টা ধরে বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। মারধরের সময় ওই যুবককে ‘জয় শ্রীরাম’ ও 'জয় হনুমান' ধ্বনি বলতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাবরেজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ৪ দিন পর মারা যান তিনি। এই মামলার চার্জশিট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন পুলিশ জানায়, তাবরেজ আনসারির মৃত্যু মামলায় ১১ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।