Jammu & Kashmir: সুপ্রিম রায়ের পরে পরেই উপত্যকায় ফিরছে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা, তবে ব্যক্তিগত স্তরে নাগালের বাইরেই ইন্টারনেট
প্রতীকী ছবি(Photo Credits: IANS)

জম্মু, ১৫ জানুয়ারি: ৫ মাসেরও বেশি সময় পর জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ফিরল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। বুধবার সকাল থেকে উপত্যকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আপাতত টুজি স্পিডে চালু করে দেওয়া হল ইন্টারনেট। তবে এখনই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে না উপত্যকার সাধারণ মানুষ। গত সপ্তাহেই একটি শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, ইন্টারনেটের অধিকার এখন মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করে দেখার জন্য জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তার পরেই কিছুটা নমনীয় হয়েছে প্রশাসন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ যাতে কোনও কথা বলতে না পারেন, সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রইল।

ইন্রানেট সাধারণ মানুষের নাগালে না এলেও সরকারি ওয়েবসাইট এবং ই-ব্যাংকিংয়ের মতো পরিষেবাগুলি আপাতত পাওয়া যাবে প্রতিষ্ঠানগুলিতে। এর বাইরে অন্য কোনও উদ্দেশ্যে যাতে কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার না করেন, সে দিকে কড়া নজর রাখার জন্যও প্রতিষ্ঠানগুলিকে সতর্ক করেছে প্রশাসন। নির্দেশিকায় আরও জানানো আছে যে, জম্মু রিজিয়নের জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, উধমপুর ও রিয়াসিতে ই-ব্যাংকিং-সহ হোয়াইট-লিস্টেড ওয়েবসাইট দেখার জন্য পোস্টপেড মোবাইলে 2G মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন পাতার বিবৃতি প্রকাশ করে পুনরায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর কথা জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই সঙ্গে কাশ্মীরে অতিরিক্ত ৪০০ ইন্টারনেট কিয়স্কও খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বুধবার শুধুমাত্র শ্রীনগর-সহ মধ্য কাশ্মীরেই ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরবে। কুপওয়ারা, বান্দিপোরা, বারামুল্লা-সহ উত্তর কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরবে দু’দিন পর। তারও দু’দিন পর ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরবে পুলওয়ামা, কুলগাম, শোপিয়ান, অনন্তনাগ-সহ দক্ষিণ কাশ্মীরে। আরও পড়ুন-Yogi Adityanath: ‘এদেশে মুসলিমরা বিশেষ সুযোগ সুবিধা পেয়ে জনসংখ্যায় বেড়েছে,’ বললেন যোগী আদিত্যনাথ

জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপাল। গত পাঁচ আগস্ট বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর থেকেই গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কাশ্মীর উপত্যকা। যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেট পরিষেবার উপরও নিষেধাজ্ঞা বসানো হয়। ১০ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত জানায়, এ ভাবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা যায় না। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার।