যোগী আদিত্যনাথ(Photo Credits: IANS)

গয়া, ১৫ জানুয়ারি: ভারতে মুসলিমদের জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে কেননা তারা বিশেষ সুযোগ সুবিধা ও অধিকার পাচ্ছে। এজন্য দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ না করে তাঁদের নামে সাধুবাদ দেওয়া উচিত। তাঁদের সৌজন্যই মুসলিমদের অধিকার ও সুযোগ সুবিধা মিলেছে। মঙ্গলবার গয়ায় সিএএ-র সমর্থনে প্রচারে গিয়ে একথাই বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি বলেন, “১৯৪৭ সালের পর থেকে মুসিলম জনসংখ্যা সাত থেকে আট গুণ বেড়েছে। তাতে কারও সমস্যা নেই। মুসলিমরা দেশের উন্নয়নে অংশ নিচ্ছে, ভাল কথা। তাদের সমস্ত সুযোগ  সুবিধা ও অধিকার দিচ্ছে সরকার। তবে পাকিস্তানে কী হচ্ছে?”

তিনি আরও বলেন, “দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ চলছে তা হল কুটিল ষড়যন্ত্র। বিরোধীরা বাইরে থেকে এই ষড়যন্ত্রে মদত দিচ্ছে। বিক্ষোভকে ভয়াবহ করতে রীতিমতো আগুন জ্বালাচ্ছে। দেশের জনগণকে একটা বিষয় বুঝতে হবে, যে এই বিক্ষোভ আসলে ভুল বোঝানোর একটা পদ্ধতি মাত্র। আর নরেন্দ্র মোদি যে ধর্মের ভিত্তিতে জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন তা ভুল।” এই তত্ত্ব মানতে নারাজ যোগী আদিত্যনাথ। প্রচুর মানুষ আজ উজ্জ্বলা যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। তাদের নাম যখন সরকারি প্রতিনিধিরা নথিভুক্ত করেন তখন কি ধর্মের ভিত্তিতে করা হয়? প্রতিবেশী দেশের এখন আশঙ্কা, জওহরলাল নেহরুর ভুল সিদ্ধান্তে তৈরি ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হওয়ায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর বোধহয় হারাতে হবে। প্রশ্ন তুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আরও পড়ুন-Jagdeep Dhankar: অর্জুনের তিরে ছিল পরমাণু অস্ত্র, একি বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর?

এদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বলবৎ হতে না হতেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তালিকা পাঠাল উত্তরপ্রদেশ সরকার। পিলভিটের ৩৭,০০০ শরণার্থীর নাম রয়েছে ওই তালিকায়। যোগী আদিত্যনাথের সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত শরণার্থীরা। গত শুক্রবার দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯, ধারা ১, উপধারা ২ মেনে ১০, জানুয়ারি ২০২০ থেকে আইন কার্যকর করা হল। গত ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। নতুন সংশোধিত আইনে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের শিখ, হিন্দু, খৃষ্ট্রান, জৈন, বৌদ্ধ ও পারসিরা। শর্ত, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে তাঁরা ভারতে এসেছেন।