করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক AstraZeneca, গোটা বিশ্ব বাজার থেকে করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড তুলে নিয়ে বন্ধ করছে বিক্রি। ২০২৪ সালের ৭ মে, মঙ্গলবার, এমনই ঘোষণা করেছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানি। তবে কোম্পানির এমন ঘোষণার কারণ ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে জানিয়েছে চাহিদা হ্রাসের কারণে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা আরও বলেছে যে করোনা মহামারীর পরে অনেক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে এবং বাজারে অনেক ধরনের ভ্যাকসিন রয়েছে, তাই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। যার জেরে আর এই ভ্যাকসিন তৈরি বা সরবরাহ করা হবে না।
কিছু দিন আগে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতের নথিতে প্রথমবার স্বীকার করে যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বে তৈরি করা করোনা ভ্যাকসিনটি বিরল এবং এই ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যার ফলে গুরুতর সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই ভ্যাকসিনের সবচেয়ে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল রক্ত জমাট বাঁধা। এমন দুশ্চিন্তার খবরের মধ্যে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে ভ্যাকসিনের সমস্যাগুলির থেকে সুবিধা অনেক বেশি, এমন পরিস্থিতিতে এই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।
অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকা কোভিড ভ্যাকসিন ভারতে বিক্রি হয় কোভিশিল্ড নামে এবং ইউরোপের বাজারে বিক্রি হয় ভ্যাক্সজাভরিয়া নামে। সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্বে ভারতে উৎপাদন এবং বিক্রি করা হয় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। ভারতীয় জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য এই ভ্যাকসিন নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই দেখা দেবে, তাই যাদের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নি তাদের জন্য এই ভ্যাকসিন নিরাপদ। তবে এমন সময় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কোম্পানির এই সিদ্ধান্ত চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে।