ভারতে করোনাভাইরাস (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৬ জুন: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করোনা রোগী (Coronavirus Cases) ১০ হাজার ৬৬৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮০ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী দেশে সবমিলিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯১। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৭৮ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ১৩ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু মিছিলে শামিল ৯ হাজার ৯০০ জন। দেশের মধ্যে ধারবাহিকভাবে করোনায় বিধ্বস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ১০ হাজার ৭৪৪। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১২৮ জনের। শুধু মুম্বইতেই মোট আক্রান্ত ৪২ হাজার ৮২৯ জন।

দেশের বাণিজ্য নগরীতে মারণ ভাইরাসের গ্রাসে প্রাণ গিয়েছে ১৪০০ জনের। মহামারী করোনায় বিধ্বস্ত ভারতের আরও একটি রাজ্য হল তামিলনাড়ু। সেখানে মোট আক্রান্ত ৪৬ হাজার ৫০৪ জন। এখনও পর্যন্ত ৪৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় যে দেশে করোনায় সুস্থতার আর আরও বেড়েছে। প্রায় ৫১.০৮ শতাংশ সুস্থতার হার। গত ১০জুনে যেখানে সুস্থতার হার ছিল ৪৮.৮৮ শতাংশ। আরও পড়ুন-Tamil Nadu: হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত, সামাল দিতে ১৯-৩০ জুন সম্পূর্ণ লকডাউনে চেন্নাই

এদিকে চেন্নাই (Chennai) ও শহরতলি এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউনের নির্দেশ দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী। এই পর্যায়ের লকডাউনে কোনও শিথিলতার প্রসঙ্গই নেই, এমনটা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একেবারে কার্ফিউর পর্যায়ে থাকবে লকডাউন। এই সময়সীমায় দুটি রবিবার পড়ছে। সেই দুদিন সামান্যতম শিথিলতা থাকতে পারে। তবে শুধু দুধ সরবরাহকারী ও চিকিৎসাকর্মীদের জন্য। চেন্নাইতে হু হু করে আক্রান্ত বাড়তেই ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলকে একহাত নেন ডিএমকে সভাপতি এমকে স্ট্যালিন। তিনি এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, রাজ্যের ক্রমশ বেড়ে চলা সংক্রমণ রুখতে কখন কার্যকরী ভূমিকা নেবে সরকার, বিশেষ করে চেন্নাইতে। এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে কে পালানিস্বামীর সরকার। এবং এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আরও এক দফা আর্থিক সহায়তার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।