তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী (Photo Credits: ANI)

চেন্নাই, ১৬ জুন: চেন্নাই (Chennai) ও শহরতলি এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউনের নির্দেশ দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী। এই পর্যায়ের লকডাউনে কোনও শিথিলতার প্রসঙ্গই নেই, এমনটা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একেবারে কার্ফিউর পর্যায়ে থাকবে লকডাউন। এই সময়সীমায় দুটি রবিবার পড়ছে। সেই দুদিন সামান্যতম শিথিলতা থাকতে পারে। তবে শুধু দুধ সরবরাহকারী ও চিকিৎসাকর্মীদের জন্য। পঞ্চম দফার লকডাউনে শিথিলতা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছিল। একই সঙ্গে আনলক-১.০ পর্যায়ে হোটেল, রেস্তরাঁ, শপিংমল, ধর্মীয় স্থানগুলি খুলে গিয়েছে। এর ফলে যেসব জায়গায় সংক্রমণ বেড়েছে, চেন্নাইয়ের মতো সেসব জায়গায় নতুন করে লকডাউনে কড়াকড়ি আনা হচ্ছে।

চেন্নাইতে হু হু করে আক্রান্ত বাড়তেই ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলকে একহাত নেন ডিএমকে সভাপতি এমকে স্ট্যালিন। তিনি এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, রাজ্যের ক্রমশ বেড়ে চলা সংক্রমণ রুখতে কখন কার্যকরী ভূমিকা নেবে সরকার, বিশেষ করে চেন্নাইতে। এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে কে পালানিস্বামীর সরকার। এবং এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আরও এক দফা আর্থিক সহায়তার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যারা রেশন কার্ডে চাল নেন তাঁদের প্রত্যেককেই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। চেন্নাই, চেঙ্গেলপেট, কাঞ্চিপুরম ও তিরুভাল্লুর জেলার অসংগঠিত শ্রমিকরাও এই সহায়তা পাবেন। আরও পড়ুন-Jammu And Kashmir: কাকভোরে সোপিয়ানে এনকাউন্টারে নিকেশ ৩ জঙ্গি, উদ্ধার ২টি একে-৪৭ রাইফেল

ইতিমধ্যেই ওই হাজার টাকার সহায়তা প্রদান শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, চেঙ্গেলপেট, কাঞ্চিপুরম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় পুনরায় কড়া লকডাউন জারি হচ্ছে। সোমবার সারা দিনে তামিলনাড়ুতে নতুন আক্রান্ত ১,৮৪৩ জন। চেন্নাইতে রয়েছে ১,২৫৭ জন আক্রান্ত। সবমিলিয়ে ৩৩ হাজার ২৪৪ জন আক্রান্ত রাজ্যের রাজধানীতেই। বিশেষজ্ঞদের পরামর্স মেনে সমস্ত রকম রিলাক্সেশনকে আপাতত অনুমতির পর্যায়ে আনেননি মুখ্যমন্ত্রী। ওই ১২ দিন জরুরি পরিষেবা ছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় আর কোনও শিথিলতা থাকবে না।