(Photo Credit: PTI/Twitter)

নয়াদিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব আইনের(CAA) বিরোধিতায় জ্বলে উঠেছিল বেশ কয়েকটি রাজ্য। সেই রাজ্যের তালিকায় ছিল উত্তরপ্রদেশ(Uttarpradesh)ও। কিন্তু সেই রাজ্যে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন যোগী আদিত্যনাথ(Yogi Adityanath)। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই মন্তব্যের ঠিক একদিন পর ভারতীয় রেলের ৮০ কোটি টাকা ক্ষতির খসড়া পেশ করলেন ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদব। বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদেই এত কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে।আর এই ক্ষতির টাকা বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকেই উসুল করা হবে। এমনটাই জানান ভারতীয় রেলের এক আধিকারিক।

রবিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স(RPF)-র এক আধিকারিকের দাবি, সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইস্টার্ন রেলওয়ে। পশ্চিমবঙ্গের নাম রয়েছে শীর্ষে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই রেলের ক্ষতি হয়েছে ৭২.১৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে, সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়েতে ক্ষতি হয়েছে ১২.৭৫ কোটি টাকা। নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টইয়ার রেলওয়ে ২.৯৮ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।আরও পড়ুন:Ajit Pawar Takes Oath as Deputy CM: মহারাষ্ট্রে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিলেন অজিত পাওয়ার

এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যাদব জানান, 'মোট ৮০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ভারতীয় রেলে। এরমধ্যে ইস্টার্ন রেলওয়ের ক্ষতি হয়েছে ৭০ কোটি টাকা এবং নর্থ ফ্রন্টইয়ার রেলওয়ের ক্ষতি হয়েছে ১০ কোটি।' পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে হাওড়া, শিয়ালদহ এবং মালদা সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভারতীয় রেলের এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেই দায়ী করলেন আরপিএফ ডিজি। সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। এরপরই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল পরিমাণে বেড়ে যায় বাংলায়। এমনটাই দাবি করেন তিনি।

তবে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই নয়। বিক্ষোভের আঁচে পুড়েছে উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, অসম-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রেলস্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে রেলের ট্র্যাক। ভেঙে ফেলা হয়েছিল সিগন্যাল পোস্ট। সবমিলিয়ে গোটা দেশ জুড়ে ভারতীয় রেলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমবেশি ৮০ কোটি টাকা। এমনটাই জানানো হয়েছে ভারতীয় রেলের তরফে।