এই অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি দেশ হতে চলেছে ভারত।রয়টার্সের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের মোট দেশীয় পণ্য (জিডিপি) ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে ৬.২% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবং আর্থিক বছর ২০২৫ সালের মধ্যে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে ৬.৩ % বৃদ্ধির অনুমান করেছেন রয়টার্স দ্বারা পরিচালিত ৬৫ জন অর্থনীতিবিদদের একটি দল। এই অর্থবছরের পূর্বাভাস ব্যাপকভাবে ৪.৬% থেকে ৭.১% পর্যন্ত ছিল।
রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের দলটি তাঁদের রিপোর্ট অনুসারে বলেছিল যে পূর্বাভাসের ঝুঁকিগুলি নেতিবাচক দিকে রয়েছে। এমনকি ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মে মাসের সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকারী ব্যয় দ্বারা সমর্থিত হবে সেটাও তাঁরা বলেছিলেন।
গত ত্রৈমাসিকে একটি দুর্দান্ত।৭.৮% সম্প্রসারণের পরে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মাঝারিভাবে ৬.৪%এবং তারপরে ২০২৪ সালের শুরুতে ৫.৫%-এ ধীর হওয়ার আগে অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়কালে ৬.০%-এ নেমে আসবে বলে আশা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আগেই রেট বৃদ্ধি করেছে। এই পদক্ষেপটি অর্থনৈতিক অবস্থানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে গ্লোবাল হেডলাইন ইনফ্লেশন ২০২২ সালে ৮.৭ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৬.৮ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ৫.২ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, "ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে একাধিক ইতিবাচক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে শক্তিশালী প্রযুক্তি এবং পরিষেবা খাতের বৃদ্ধি ছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগের বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি অন্যতম। এছাড়াও রয়েছে অনুকূল লভ্যাংশ, ব্যবসায়িক সুবিধা প্রদানকারী সরকারি নীতি এবং ভোক্তা ব্যয় পূর্বাভাস অনুযায়ী পুনরুদ্ধারের মতো বিষয়। এই বিষয়গুলি কোভিড-19 পরবর্তী সময় থেকে একটি উন্নত সামগ্রিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।"