Congress Flag. (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৬ অগাস্ট: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যে দলের এক সময়ের বড় মুখ গুলাম নবি আজাদের কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে হাতছাড়া হওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। গুলাম নবি আজাদ পন্থী জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা কংগ্রেসের বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে, আজাদের রাস্তায় হেঁটে কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়লেন রাজ্যে দলের প্রাক্তন সহ সভাপতি জিএম সারোরি, হাজি আব্দুল রশিদ, মহম্মদ আমিন ভাট, গুলজার আহমেদ ওয়ানি, চৌধুরী মহম্মদ আক্রমের মত নেতারা। উপত্যকায় ক দিন আগে দলীয় সংগঠন ঢেলে সাজান কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গুলাম নবি আজাদ পন্থী নেতারা সেই দলীয় সংগঠন রদবদলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তাই জল্পনা ছিলই, আজাদ কংগ্রেস ছাড়তে পারেন। এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে গুলাম নবি আজাদ ও তাঁর সমর্থকরা এবার কংগ্রেস ছেড়ে কোথায় যান।

৭৩ বছরের আজাদের সঙ্গে বিজেপি-র বর্তমান নেতৃত্বের সম্পর্ক ভাল। এমনও জল্পনা একটা সময় হয়েছিল, গুলাম নবি আজাদকে বিজেপি রাষ্ট্রপতিও করতে পারে। যদিও সেই জল্পনা মেলেনি। গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে বারবার তোপ দাগা আজাদ এবার পদ্মশিবিরে যোগ দেন তা হলে অবাক হওয়ার থাকবে না, বলে একাংশের ধারনা। তবে অনেকে বলছেন, জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমানের মেরুকরণের রাজনীতিতে আজাদের বিজেপিতে যোগদান অত সহজ হবে না। আরও পড়ুন-কংগ্রেস থেকে 'আজাদ' হলেন গুলাম! ইস্তফা পত্রে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তোপ

দেখুন টুইট

আর কয়েক মাস বাদেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে বলে জল্পনা। তার আগে গুলাম নবি আজাদের দল ছাড়া কংগ্রেসের ফলে কতটা প্রভাব ফেলে সেটা দেখার।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই আজাদের মত অভিজ্ঞ নেতাদের দলছাড়াটা কংগ্রেসের পক্ষে সুখবর নয়, তবে আবার এটাও ঠিক গুলাম নবি আজাদ দিল্লিতে কংগ্রেস সরকার সরতেই, কাশ্মীরে দলের বড় পদে থেকেও কিছুই করতে পারেননি। বরং তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছিলেন দলের তৃণমূলস্তরের নেতা-কর্মীরাই। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর আজাদ সেভাবে স্থানীয় স্তরে দলের হয়ে তেমন কিছুই করতে পারেননি।