প্রণব মুখার্জি(Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৬ আগস্ট: ধারাবাহিকভাবে জীবন সংকটে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি (Pranab Mukherjee)। শুধু ফুসফুসে সংক্রমণই নয়, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির রেনাল প্যারামিটারেও বদল এসেছে। ১৬ দিন ধরে ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। দিল্লির সেনা হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে গভীর কোমায় রয়েছেন তিনি। তার মধ্যেই এবার বুধবারের বুলেটিনে হাসপাতালের তরফে জানানো হল, প্রণববাবুর রেনাল প্যারামিটারেও কিছু বদল হয়েছে। গতকাল থেকেই এই রেনাল প্যারামিটারে সামান্য বদল দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। এমনিতেই প্রণববাবুর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। তারমধ্যে এই রেনাল প্যারামিটারে বদল হওয়ায় সংকট কিছুটা বাড়ল বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। কার্যত ১৬ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।

উল্লেখ্য, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রেনাল প্যারামিটার বলতে বোঝায় শরীরে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ইউরিক অ্যাসিড প্রভৃতির মাত্রা। এইসব উপাদানের মাত্রায় বদল হলে তার জেরে শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এমনিতেই বয়স হলে শরীরে এই সব উপাদানের মাত্রায় মাঝেমধ্যে হেরফের হয়। গত ৯ অগস্ট রাতে নয়াদিল্লির রাজাজি মার্গের বাড়িতে বাথরুমে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। মস্তিষ্কে আঘাত নিয়ে পর দিন, ১০ আগস্ট সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির কোভিড রিপোর্টও পজিটিভ আসে। মস্তিষ্কে যে রক্ত জমাট বেঁধেছিল তা বের করতে অস্ত্রোপচার করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরে আর জ্ঞান ফেরেনি তাঁর। এর পরে গভীর কোমায় চলে যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। আরও পড়ুন-West Bengal Monsoon: সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখার জেরে বর্ষণ মুখর দক্ষিণবঙ্গ, বৃহস্পতিবারে উত্তরবঙ্গে সরবে নিম্নচাপ

সংকটে প্রণব মুখার্জি

এদিকে গত রবিবার সকালে প্রণব মুখার্জির পুত্র অভিজিৎ মুখার্জি টুইট করে আশার খবর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আগের দিন হাসপাতালে গিয়ে তিনি তাঁর বাবাকে দেখে এসেছেন। পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ভগবানের কৃপা এবং সাধারণ মানুষের শুভেচ্ছায় প্রণব মুখার্জি দ্রুত বাড়ি ফিরে আসবেন। অন্যদিকে প্রণববাবু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁর বাড়ি বীরভূমের কীর্ণাহারে শুরু হয়েছে যজ্ঞ ও পুজো। তিনি সুস্থ না হয়ে ওঠা পর্যন্ত এই প্রার্থনা চলবে বলেই জানিয়েছেন তাঁর পরিবার ও গ্রামের মানুষ।