নতুন দিল্লি, ১১ এপ্রিল: লকডাউনের (Lockdown) জেরে ঘরবন্দী গোটা দেশ। তাই গৃহবন্দী অবস্থায় কেবল টিভিতেই আবদ্ধ জনতা। তাই কোনওভাবে দর্শকদের মনোরঞ্জনের ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য তৎপর কেন্দ্র সরকার। এমনিতেই বন্ধ সিরিয়াল, সিনেমার শুটিং। তাই পুরোনো সম্প্রচার এবং সিনেমা চালানো হচ্ছে টিভি চ্যানেলে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানায়, সমস্ত সম্প্রচারক যেমন: ডিটিএইচ (ঘরে ঘরে) সরবরাহকারী, একাধিক সিস্টেম অপারেটর, স্থানীয় কেবল অপারেটরকে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান রাখতে সকলকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আজ ২১ দিনের লকডাউনের সময়সীমা আরও ২ সপ্তাহ বাড়ানোর কথা ঘোষণা হয়। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর এই সিদ্ধান্ত নেন। দেশজুড়ে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে লকডাউন বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেছেন তিনি। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। আরও পড়ুন, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হল লকডাউনের মেয়াদ, মুখ্যমন্ত্রীদের আর্জিতে সায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
লকডাউনের (ভবিষ্যত নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল শেষ হচ্ছে লকডাউনের মেয়াদ। বুধবার থেকে কী হবে? লকডাউনের মেয়াদ কি আরও বাড়ানো হবে, নাকি ধাপে ধাপে তা তুলে দেওয়া হবে? এ সব বিষয়কে সামনে রেখেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে মাস্ক (Mask) পরে থাকতে দেখা যায়।
সেইমতো রাজ্যগুলিতে লকডাউন বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। পশ্চিমবঙ্গেও আগামী ২ সপ্তাহ লকডাউন জারি থাকবে। ১০ জুন পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। অনলাইন ফুড ডেলিভারি, কৃষকদের চাষ, বেকারির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র খোলা অক্ষর নির্দেশ। লকডাউন মানার নির্দেশ দেওয়া হয়। সারা দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৪৪৭, মৃতের সংখ্যা ২৩৯।