দূষণে দিল্লি (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ৯ ডিসেম্বর: ফের বিপদসীমায় পৌঁছাল রাজধানীর (Delhi) দূষণ (Pollution)। বেলা আড়াইটেতে প্রায় ৩৫৫-র কোঠায় দূষণমাত্রা। এর সঙ্গে অতিরিক্ত সমস্যা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কুয়াশা। একেবারে অন্ধকারে ঢেকেছে গোটা চত্বর। দৃশ্যমানতার কিছুই তেমন অবশিষ্ট নেই। বাসিন্দারা খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারছেন না। আবছায়ার মধ্যে মুখে মাস্ক পরেই সপ্তাহের কাজের দিনটি শুরু করল রাজধানীর বাসিন্দারা। ইন্ডিয়াগেট থেকে শুরু করে ধোঁলাকুয়া জাতীয় সড়ক পর্যন্ত গোটা পথটাতেই সকাল শুরু হল অনেক পরে। অশোক বিহার এলাকায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (AQI) বিচারে দূষণমাত্রা ৩৯১ ছাড়িয়েছে। জাহাঙ্গিরপুরিতেও তাই। রোহিনীতে ৪৩০, পুষা এলাকায় ৩৮৫, সিরিফোর্ট, মুন্ডকা এলাকায় দূষণমাত্রা ৩৭৫, ৩৭৬-এ আটকে আছে।

পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি হয়েছে। বাসিন্দারা যাতে সাত সকালে খুব প্রয়োজন না পড়লে বাইরে না যান তারও পরামর্শ দেওয়া চলছে। যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাঁদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। দিন দশেক আগেও বৃষ্টির বদান্যতায় একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছিল দিল্লির বায়ুমণ্ডল। তবে বৃষ্টি বন্ধ হতেই উত্তুরে হাওয়া কমে গেল। এই পরিস্থিতিতে ফের দূষণ বেড়েছে দিল্লিতে। প্রথমে কয়েক দিন তা সামান্য থাকলেও ক্রমশ বিপদসীমা স্পর্শ করে ফেলল। আরও পড়ুন-Assam: আজ সংসদে পেশ নাগরিকত্ব বিল ২০১৯, বিরোধিতায় নেমেছে গোটা দেশ, অসমে বনধের পরিস্থিতি

এগিকে গত মাসেই প্রতিবেশী পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মুখ্যসচিবকে এনিয়ে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করে কীভাবে সেখানে এখনও খড় পোড়ানোর কাজ চলছে। প্রশাসন কি এত মানুষের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত নয়? এমন হাজারও প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রকে রাজধানী জুড়ে এয়ারা পিউরিফায়িং টাওয়ার বসানোর নির্দেশ দিয়েছে সু্প্রিম কোর্ট।