আশা কিরণ সেল্টার হোমে একাধিক শিশুমৃত্যু ঘটনায় বর্তমানে উত্তপ্ত দিল্লি। রাজ্য সরকারের চুড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি দেখা গিয়েছে বিগত কয়েকদিনে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে যে বিগত কয়েকমাস ধরে সমাজ কল্যান দফতরে (Social Welfare Department) কোনও মন্ত্রীই নেই। লোকসভা ভোটের আগে এই দফতরে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী রাজ কুমার আনন্দ পদত্যাগ দেন। তারপর থেকে আর কোনও বিধায়ক বা মন্ত্রীকে এই দফতরের দায়িত্বই দেননি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যার ফলে কোনও তত্ত্বাবধানের অভাবে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি বিরোধীদের। এমনকী এই বিষয়ে এবার আপ সরকারের সমালোচনা শুরু করেন দিল্লির উপ রাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা।
শনিবার তিনি বলেন, সমাজ কল্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরে বিগত কয়েকমাস ধরে কোনও মন্ত্রী নেই। ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেল থেকে বেরিয়েছিলেন। তখন তিনি এই দফতর নিয়ে কিছু করতে পারতেন। আর যদি তাঁর মনে হত যে জেলে থেকে তিনি কিছু করতে পারছেন না। তাহলে পদত্যাগপত্র উপ রাজ্যপালের অফিসে পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু সংবেদনশীল এই দফতরের কথা তিনি কি বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলেন? আর সৌরভ ভরদ্বাজের মতো নেতাদের এই নিয়ে জবাবদিহি করার মতো কী কোনও মুখ রয়েছে?
The Social Welfare Department has not had a Minister ever since Raj Kumar Anand resigned. CM Arvind Kejriwal even when out on bail, found time to accept his resignation and forward it to LG, but did not deem it to appoint a new Minister, in a sensitive department that more than…
— ANI (@ANI) August 3, 2024
প্রসঙ্গত, দিল্লির রোহিনী এলাকায় দিনকয়েক আগে আশা কিরণ শেল্টার হোমের এক শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। জানা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে গত জুলাই মাসে। মূলত অপরিচ্ছন্ন জল, নোংরা জিনিসপত্র, অপরিস্কার টয়লেটের কারণেই ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শিশুদের। অসুস্থ অসংখ্য প্রতিবন্ধী। এই ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্য সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা।